
ম্যাচের তখন ৪৪ ওভার। নাসিরের রান তখনও ৭৭। ডাগ আউটে বসে কোচ বাবুলের সতর্কবার্তা ‘নাসির ধরে খেল, শেষের দুই ওভার মারবে।’
কোচের কথা যেন রাখলেন নাসির। ৪৮ ওভার পর্যন্ত ধরেই খেললেন। ৪৯ তম ওভারে দুই বল খেলার সুযোগ পেয়ে একটা চার আর দৌঁড়ে নিলেন একরান। শেষের ওভারে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তার দরকার ছিল তিন রান। ওই ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম-২য়ে নাসিরের ১১৫ বলে ১০৯ রানের ওপর ভর করেই নেপালকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। ১৫ চার আর ২ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান নাসির। এছাড়া দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক করেন ৬১ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রানেই চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় এক রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার আজমির আহমেদ ফেরেন শূন্য রানে। দলীয় ৮ রানে ও ব্যক্তিগত ৭ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক সাইফ হাসান।
এরপর মোহাম্মদ মিথুন শূন্য ও নাজমুল হোসাইন শান্ত ৪ রানে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তিন ওভারের এক বিধ্বংসী স্পেলে বাংলাদেশকে টপ অর্ডার শূন্য করে দেন দেশের হয়ে প্রথম কোনো ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পাওয়া অবিনাশ করন। অন্য উইকেটটি পান মাহবুব আলম।
প্রথম ওভারের শেষ বলে অফ সাইডে শট খেলতে গিয়ে আসিফ শেখের হাতে ধরা পড়েন আজমির আহমেদ। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ফ্লপ থাকলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের এই বড় পারফরমার। তৃতীয় ওভারে শরদ ভেসকরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ম্যাচের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান। নিজের তৃতীয় ও দলীয় পঞ্চম ওভারে অবিনাশের শিকার এবার মোহাম্মদ মিথুন। দশম ওভারের শেষ বলে মাহবুব আলমের শিকার হন নাজমুল হোসাইন শান্ত।
৬১ রানে মুমিনুল ফেরলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষের দিকে আফিফ, সাইফ আর আবুল হাসান রাজুকে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন নাসির।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।