১৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

দোছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে উৎপত্তি হওয়া বাকঁখালী নদীর নাইক্ষ্যংছড়ির ৩০ কি:মি অংশ রক্ষার দাবী


বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জিরো পয়েন্টের ভূচি পাহাড়ের নিকটবর্তী এলাকা থেকে সৃষ্ট বাকঁখালী নদী নাইক্ষ্যংছড়ি অংশে গতিপথ হারাচ্ছে। পাশাপাশি এ নদীর দু’পাড়ে ভোগ দখলে রেখে তামাক চাষ করার কারণে ক্ষতি হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। গত কয়েকদিন যাবত কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি সীমানা এলাকার জনসাধারণের সাথে কথা বলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দেশের পূর্ব সীমান্ত পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ির ওপারে পাহাড় থেকে উৎসারিত বাকঁখালী নদী কক্সবাজার বুক চিরে বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু সীমান্তের এই গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম বান্দরবান জেলার কোথাও উল্লেখ ছিলনা। এই নদী খরতা ও প্রায় ৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে ৬০ কি:মি: উত্তরে মাতামুহুরী মোহনা।
বর্তমানে এই নদী মৃতপ্রায়। সরেজমিনে দেখা যায়, পাহাড়ী ঢলে ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর দুই পাড়ে দখলদাররা তামাক চাষ শুরু করেছে। যার কারণে নদীটি সরু হয়ে বর্ষা মৌসুমে ঘন ঘন বন্যায় কবলিত হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি ও আশপাশের এলাকা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য সচিব ও দোছড়ি ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইমরান জানান- বাকঁখালী নদীটির উৎপত্তি হয়েছে দোছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে। নাইক্ষ্যংছড়িতে অন্তত ২৫/৩০কি:মি এলাকা জুড়ে বাকঁখালী নদী। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে পাহাড়ে পাথর উত্তোলন, বন ধ্বংসসহ নদীর দুই পাড়ে তামাক চাষের কারণে বাকঁখালী নদী প্রাণ হারাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সহকারী একান্ত সচিব সাদেক হোসেন চৌধুরী বলেন- বাংলাদেশ নদী কমিশন এতদিন জানত বাকখালী কক্সবাজারের নদী। ২৩ জানুয়ারী প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর নিশ্চিত হয় তারা, এ নদীর উৎপত্তিস্থল বান্দরবানে। আগামীতে নদী নিয়ে যখন কাজ শুরু হবে তখন সেটা জানা যাবে। বাকখালী বন্দরবানের নদী তালিকায় উঠেছে এবং সেটা সংশ্লিষ্টরা আমাদের কাছে নিশ্চিত করেছেন।


অপরদিকে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় বাকঁখালী নদীর ভাঙ্গন অংশে নিয়োজিত বিশিষ্ট ঠিকাদার সোহেল সিকদার এ প্রতিবেদককে জানান- উজানে পাহাড়ী ঢল ও পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডের কারণে বাকঁখালী নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ নদীর গতিপথ পরিবর্তণ হওয়ায় কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যা বর্তমানে কক্সবাজার-রামু আসনের সংসদ সদস্যের আন্তরিতায় কাজ চলছে। আগামীতে বাকঁখালী খনন করা না হলে নদীটি গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহমান হয়ে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম সরওয়ার কামাল বলেন- আমরা জেনেছি বাকঁখালী নদীর উৎপত্তিস্থল দোছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে। আগামীতে নদী খননসহ বাকঁখালীর অস্বীত্ব রক্ষায় প্রশাসন সজাগ থাকবে বলে জানান তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।