১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

দূষিত হচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্য নাপিতা পুকুর দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মুসল্লীরা

ayrin-news-pic-2-300x225কক্সবাজারের শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ বাজারঘাটার নাপিতা পুকুর। সঠিক পরিচর্যা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার প্রাচীনতম এই পুকুরটি। স্থানীয় সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত এ পুকুর রক্ষার দায়িত্ব মসজিদ কমিটির থাকলেও এটি দূষিত করে চলেছে এই এলাকার সাধারণ মানুষ। আবর্জনার স্তুপ ও অবৈধ সিএনজি স্টেশনে ঢেকে পড়ে পুকুরটি। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে পুকুরটি। এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবহারকারিদের।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী বলেন “মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে ৬’শ থেকে ৭’শ মুসল্লী নামাজ আদায় করে। অনেক সময় আরো বেশিও হয়। সব মানুষের ওযু আমাদের ওযু খানায় অনেক সময় সংকুলান হয়না। তখন মুসল্লীরা এ পুকুরে ওযু করে। কিন্তু অনেকদিন যাবত পুকুর ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। “ তিনি জানান এলাকার ফল ব্যবসায়ি, হোটেল ব্যবসায়ি এবং বিভিন্ন দোকানের দোকানিরা আবর্জনা ফেলে পুকুর পাড় ও পুকুর দুষিত করছে।
নাম প্রকাশ না করায় এক ফল ব্যবসায়ি জানান পৌরসভা থেকে এ স্থানে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করা সত্ত্বেও এ এলাকার ব্যবসায়িরা এ স্থানে আবর্জনা ফেলে।
এলাকার মুসল্লীরা জানায় পুকুর পাড়ে অবস্থিত অবৈধ সিএনজি স্টেশন ও আবর্জনা স্তুপের কারনে ওযু করতে যেতে বেগ পেতে হয়। যে কারনে খুব একটা প্রয়োজন না হলে কেউ ঔ পুকুর ব্যবহার করতে চায়না।
কক্সবাজারের সুশিল সমাজের প্রতিনিধি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন “কক্সবাজার সারা পৃথিবীতে এক অন্যতম পর্যটন শহরের নাম। এখানে পর্যটকেরা এসে সব থেকে বেশি যা দেখে নাখোশ হয় তা হল শহরের অপরিচ্ছন্নতা। বাজারঘাটার মত এমন ব্যস্ততম স্থানে যদি নাক চেপে মানুষের চলতে হয় তা খুবই দুঃখজনক। পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারের প্রতিটি স্থান পরিচ্ছন্ন হওয়া প্রয়োজন।”
প্রবীণ সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু বলেন “ শহর থেকে আজ অবধি অনেক পুকুরই ভড়াট হয়ে গেছে। যে ক’টি আছে তার মধ্যে নাপিতা পুকুরটি অন্যতম। পুকুরটি সংস্কার ও রক্ষা করা প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন “২ মাস আগেই আইবিপি মাঠে আবর্জনা অপসারন কেন্দ্র করায় বাজারঘাটা নাপিতা পুকুর পাড়ে কোন ধরনের আবর্জনা ফেলতে ঔ এলাকার মানুষকে নিষেধ করা হয়েছিলো। তারপরও যদি কেউ পুকুরটিকে দূষিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজারকে পরিচ্ছন্ন রাখার সব ধরনের ব্যবস্থা পৌরসভা থেকে নেয়া হবে।”

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।