১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরছেন জেলেরা

 

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল ওই দুই মাসের জন্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ সোমবার থেকে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছে প্রায় অর্ধলাখেরও বেশি জেলে।

আজ সোমবার ভোর থেকেই লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও সদর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলেরা। নদীতে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলে পল্লীগুলোতে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। মাছঘাটগুলোতে জেলে, মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কর্ম তৎপরতা শুরু হয়েছে।

রামগতি ও কমলনগরের জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পর নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছেন তাঁরা। নৌকা মেরামত, জাল বোনা ও ছেঁড়া জাল ঠিকঠাক করে নেমে পড়েছেন মাছ শিকারে। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় গত দুই মাস ধারদেনা করে সংসার চলেছে। নদীতে মাছ ধরা পড়লে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে ৪৫ হাজার ৭৭১ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়ে সব প্রজাতির মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় এদের মধ্যে থেকে ২৫ হাজার ৯৪৭ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। জেলেরা চার কিস্তি পাবেন ভিজিএফের চাল।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্লাহ জানান, নিষিদ্ধ সময়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে গত দুই মাসে ২৩ জেলেকে জেল এবং ৮৮ জনকে তিন লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৬৯ মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে কয়েক লাখ মিটার জাল। আজ থেকে জেলেরা নদীতে সব প্রজাতির মাছ শিকার করতে পারবে। তবে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকার করা যাবে না। জাটকা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাটকা ইলিশ রক্ষার জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শত কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ ছাড়া এ সময় নদীতে মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ছিল।

ভোলার দিকেও জেলেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মাছ ধরায়। মনপুরা উপজেলার ২০ সহস্রাধিক জেলের মেঘনায় ইলিশ ধরার অপেক্ষার অবসান হচ্ছে আজ ১ মে। দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর আবার জাল নিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।

নিষেধাজ্ঞার পর আজ সোমবার সকাল থেকেই মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী ফিরে পেয়েছে তার পুরোনো চেহারা। সকাল থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে নদীতে। আবার মাছ ধরতে শুরু করায় জেলেদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।