১২ মে, ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

দরিয়ানগরে পাখি প্রেমিকদের ভীড়

বিরল বর্ণের ও প্রজাতির নানা পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে দরিয়ানগর এলাকা। আর তা দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছে প্রকৃতিপ্রেমী উৎসুক মানুষের দল।চলমান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে নানান পাখি ওই পাহাড়ের ঢালে গর্ত খুঁড়ে বাসা বেঁধেছে আর সেখানে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে।এখন নানা জাতের পাখির ছানার কিচির-মিচির ধ্বনি নজর কাড়ছে পাখি প্রেমিকদের।
গতকাল বুধবার বিকালে বানরের পাহাড়ের পাখির কলতান উপভোগ ও পাখির ছবি তুলতে আসেন রাজধানী ঢাকার সৌখিন ফটোগ্রাফার ডা. বাপ্পী ও ডা. রানা। একদল পরিবেশবাদী নিয়ে আরো এসেছিলেন হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকাও।
ঢাকা থেকে পর্যটক ডা. বাপ্পী ও ডা. রানা জানান- খবর পেয়ে বুধবার বিকালে তারা বানরের পাহাড় দেখতে গিয়েছিলেন। সে সাথে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও। আর ওই এলাকা থেকে তারা অনেক পাখির ছবি তুলেছেন। যারমধ্যে রয়েছে বিরল প্রজাতির সানবার্ডও। এছাড়া সুঁইচোরা, শালিক, কাঠশালিক, স্পটেট কিংশ ফিশার বা মাছ রাঙা, চড়–ই ও মুনিয়া পাখির ছবি তুলেছেন তারা।
কক্সবাজার হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান- বুধবার বিকালে ‘বানরের পাহাড়ে’ পাখি দেখতে গিয়ে পাখির ঝাঁক ও তাদের কলরব দেখে বিমোহিত হন।পাহাড়টির জীববৈচিত্র্য পর্যটন ও পরিবেশের স্বার্থে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
জানা যায়, গত এপ্রিল মাস থেকে নানা বিরল প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরের ‘বানরের পাহাড়’। সেসাথে গতবছরের জুলাই মাসে পালিয়ে যাওয়া বানরের দলও ফিরেছে নতুন অতিথিসহ। চলমান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে বিরল বর্ণের নানা প্রজাতির পাখি এই পাহাড়ের খাড়া গায়ে গর্ত খুঁড়ে বাসা বাঁধে এবং ডিম দেয়ার পর বাচ্চা ফোটায়। আসছে ঘোর বর্ষার আগেই বাচ্চা বড় করে এসব পাখি নিরাপদ আবাসে ফিরবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান- চলতি মাসের শেষ দিকে এসব পাখি বাচ্চা নিয়ে অন্যত্র চলে যাবে। এগুলো চলে যাওয়ার পর ফিরবে বাতাসী পাখি ও মাছরাঙা। ইতোমধ্যে কিছু কিছু মাছরাঙা ও বাতাসীর দেখাও মিলছে; যে পাখিগুলো নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে একই কায়দায় বংশ বিস্তার করে অন্যত্র চলে গিয়েছিল।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণে মেরিন ড্রাইভ ও সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন দরিয়ানগর বানরের পাহাড়টি বড়ছড়া খালের উত্তর পাশ থেকে শুকনাছড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ এই পাহাড়ে রয়েছে ঘন বাঁশবন ও সেগুন বাগান ছাড়াও নানা প্রজাতির বৃক্ষ ও গুল্মের সমাহার। এই পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বাস করে নানা প্রজাতির পাখি। বিভিন্ন গাছেও বাসা বেঁধে থাকে পাখির দল। এরই মাঝে এখানে বাস করে বন্য বানরের কয়েকটি দলও। বানরের কয়েকটি দল ইতোমধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে। আর সেইসব বাচ্চাকে বুকে আঁকড়ে মা বানরের দুগ্ধ দান ও পাহাড়ের গায়ে বিচরণের দৃশ্য মন কাড়ছে দরিয়ানগরের শিশুদের। এসব পাখি দেখতে আসছে পর্যটকরাও।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।