১২ জুলাই, ২০২৫ | ২৮ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৬ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

ঢাকায় তিন শপিং মলের মালিক এএসআই মাহফুজ

033
ফেনীতে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পুলিশের সেই এএসএই মাহফুজুর রহমান ঢাকায় কয়েকটি শপিংমলের মালিক বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে তার গাড়িচালক জাবেদ আলী। গতকাল বিকালে ফেনী সদর কোর্টের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালতে ইয়াবা চালানের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহীনুজ্জামান জানান, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এএসআই মাহফুজুর রহমানের গাড়িচালক জাবেদ আলীর দুদফা রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে জবানবন্দির জন্য হাজির করা হয়। খবর মানবজমিন’র।
জবানবন্দিতে জাবেদ আলী জানায় এএসআই মাহফুজুর রহমান বি.বাড়িয়া থাকা অবস্থায় দেড় বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই থেকে মাহফুজের ব্যক্তিগত ‘এলিয়ন’ প্রাইভেট কারটি তিনি চালাচ্ছেন। এই প্রাইভেট কারে করে কক্সবাজার থেকে এএসআই মাহফুজুর রহমান, এসআই আশিক, এসআই বেলাল, ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন, ইয়াবা ব্যবসায়ী সালেহসহ একাধিক ব্যক্তি নিয়মিত ইয়াবা আনা-নেয়া করতো। তার গাড়িতে বহনকৃত ইয়াবাগুলো ঢাকার পল্টন, শনির আখড়া, মালিবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হতো। র‌্যাবের হাতে ইয়াবাসহ আটকের সময় দুটি প্রাইভেট কারে করে ইয়াবা ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তার গাড়িটি ধরা পড়লেও অপর গাড়িটি ঢাকায় চলে যায়। ওই গাড়িতে ২৫-৩০ কোটি টাকার ইয়াবা ছিল। জাবেদের ড্রাইভকৃত ‘এলিয়ন’ প্রাইভেট কারটি এএসআই মাহফুজুর রহমানের নিজের গাড়ি। যা তার পিতার নামে নিবন্ধিত। এছাড়া এএসআই মাহফুজের ঢাকায় ৫ কাঠা জমি রয়েছে। ঢাকায় মাহফুজের তিনটি সুউচ্চ শপিংমলও রয়েছে। এছাড়াও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে কারা কারা জড়িত রয়েছে তাদের নাম জাবেদ তার জবানবন্দিতে দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জবানবন্দির পর জাবেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২০শে জুন রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায় র‌্যাবের হাতে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ গাড়িচালক জাবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর ২২ জুন থেকে দুদিন ও ২৪শে জুন থেকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এদিকে ওই মামলায় কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের তিন দিনের রিমান্ড আজ শেষ হলে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ মামলার প্রধান আসামি এএসআই মাহফুজুর রহমান গত ২৪শে জুন ইয়াবা ব্যবসায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিল।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।