১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ২৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১০ মামলা

বকেয়া পরিশোধ না করায় ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ও বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার রাজধানী ঢাকার শ্রম আদালতে ১০টি মামলা দায়ের করেছেন ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ও বর্তমান দশ কর্মী।

ওই কর্মীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়েক মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করায় রাজধানী ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ টেলিফোনে এক তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। এই প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।

গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ও বর্তমান ১০ কর্মী গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দারিদ্র বিমোচনে তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক সফলতা অর্জন করায় ২০০৬ সালে শান্তির নোবেল পান এই বাংলাদেশি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ বলেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে দুইদিনে ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ঢাকার শ্রম আদালতে ৭টি ও আগেরদিন তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান ও এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাফরুল হাসান বলেন, ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মূনাফা হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এই মূনাফা কর্মীদের পরিশোধ করা হয়নি।
গত দশকে প্রতিষ্ঠানটির নিট মূনাফা ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদেরকে পরিশোধ ও ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডে জমা দিতে হবে। দুই সপ্তাহে ওই তিন বাদীর বিরুদ্ধে ১০ মামলা হলেও আগামী সপ্তাহে আরও ২৪ মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জাফরুল হাসান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।