৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন

ডিজিটাল যুগে এ কেমন ঈদগাঁও বাজার!

images
ডিজিটাল যুগে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও কক্সবাজার সদর উপজেলার বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার এখনও সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি। এ নিয়ে ব্যবসায়ীসহ পথচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এমনকি দক্ষিণ চট্টলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজার নামক বাজারে অল্প বৃষ্টিতেই কাঁদা জলের সৃষ্টি হয়। এতে করে যাতায়াতে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের দুর্ভোগ আর দুর্গতি যেন একাকার হয়ে মিশে আছে। এসব বিষয়ে দেখার কেউ নেই। জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাও বাজার। এবার নিলাম ডাক হয়েছে বহু লাখ টাকায়। সদর উপজেলার ঈদগাও, জালালাবাদ এবং অংশবিশেষ ইসলামাবাদ ইউনিয়ন নিয়েই অবস্থিত। প্রাচীন কাল হতেই সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দু’দিন হাট বসে। হাটের দিনগুলোতে বৃহত্তর ঈদগাওর পার্শ্ববর্তী রামু, চকোরিয়া ও পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি হতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পন্য সহ নানান ধরনের পণ্য নিয়ে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসেন। কিন্তু বেচা বিক্রির স্থান হয় বাজারের অভ্যন্তরীন রাস্তাগুলোতে। কিন্তু অল্পবৃষ্টিতে বাজারে আগত ক্রেতাসাধারনের হাঁটা চলার কোন স্বাভাবিক পরিবেশ থাকেনা। অপরদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কর্দমাক্ত আর জলাবদ্ধতা পেরিয়ে স্ব স্ব শিক্ষাঙ্গনে যেতে দেখা যাচ্ছে। তার পাশাপাশি এ জলাবদ্ধতার ফলে হরেক রকমের যানবাহন চলাচল করতে দারুনভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। সে সাথে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে এত কষ্ট সহজে মেনে নেওয়া যায় না। বাজারের অভ্যন্তরে ড্রেন নির্মাণ করলেও ব্যবসায়ীরা উক্ত ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে রাখে। যার দরুন বৃষ্টির পানি কোথাও যেতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়ে ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটি থাকলেও তাদের কোন মাথাব্যথা নাই বলেও অভিযোগ একাধিক পথচারীর। এদিকে বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে ঈদগাঁও বাজারের চিত্র উন্নয়নের দিক দিয়ে বহুগুণ পিছিয়ে সুদক্ষ নেতৃত্ব আর তদারকির অভাবে। বর্তমান মহাজোট সরকার দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ডিজিটাল যুগে বিভাগ ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরে দিলেও এ অবহেলিত ঈদগাঁও বাজারের চিত্র যেন পূর্বের মতই বরাবর রয়ে গেল এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বাজারে আগত বেশ কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ। এত লজ্জা রাখব কোথায়? অথচ এ বাজার থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একেবারেই পিছিয়ে বললেও চলে। নেই কোন রিক্সা, অটোরিক্সা ও টমটম পার্কিংয়ের স্থান, সুনির্দিষ্ট ভাড়া তালিকা, বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা তদারকির ব্যাপারে নেই কোন কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাজার কমিটি থাকলেও বাজার উন্নয়নের ব্যাপারে তাদের যথাযথ কোন উদ্যোগ নেই বলে জানান বাজারবাসী। মাঝে-মধ্যে সভা-সমাবেশ ডেকে বাজারের উন্নয়নের ব্যাপারে কথাবার্তা শুনা গেলেও তা বাস্তবায়নে কোন ধরণের উদ্যোগ চোখে পড়ে না। বাজারের অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখে বেশ ক’জন লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিনিধিকে জানান, ঈদগাঁও বাজারের মত এমন বেহাল অবস্থা জেলার আর কোন বাজারেই নেই। বাজারের ডিসি সড়কের অবস্থা দেখলে মনে হয়, এ যেন বাজারবাসী মগের মুল্লুকে বাস করছে। কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, বহু লাখ টাকা এ বাজারে নিলাম ডাক হলেও পরিবর্তনের ছোঁয়া পাচ্ছে না কোনভাবে। যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত আবশ্যকীয় পাবলিক টয়লেট ও  সুষ্টু ড্রেনেজ সিষ্টেমের অভাব, মাছ ও তরকারী বাজারের পঁচা দূর্গন্ধ পরিবেশ এখনো বিদ্যমান। এ ব্যাপারে সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও বাজারের অব্যবস্থাপনা নিরসনে বাজার কর্তৃপক্ষ একটু উদ্যোগ নিলে হয়ত বাজারের আসল চিত্র ফুটে উঠত। না হয় আজীবন বাজারবাসী তিলে তিলে কষ্ট ভোগ করবে। এ বিষয়ে ঈদগাঁও বাজার পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মাষ্টার নুরুল আজিমের মতে, বাজারের উন্নয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বাজার কমিটির সদস্য ছৈয়দ করিমের মতে, ঈদগাঁও বাজারের উন্নয়নের বিষয়ে যথাযথ বাজার কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েছে। ধীরে ধীরে তা করতে যাচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।