২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ   ●  টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি    ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ

ডিজিটাল বাংলাদেশ এনালগ টেলি খাত

সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় তৎপর তখন এনালগ সিস্টেমে চলছে বাংলাদেশ টেলি-কমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। হেড অফিসে দেখা গেছে, পুরনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই এখনো কম্পিউটার চালাতে পারে না। হাতে লিখে কিংবা আগের যুগের টাইপিং মেশিন দিয়েই কাজ চালান তারা। বিটিসিএলের ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা লেখা থাকলেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেরাই সেসব বিষয় বোঝেন না।

জানা গেছে, বিটিসিএলের দাফতরিক সব কাজ এখনো ম্যানুয়ালই হয়ে থাকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ই-মেইল বা ডিজিটাল টেঙ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় কাউকে ই-মেইলের মাধ্যমে কোনো কিছু জানানো যায় না। অনেক সময় ই-মেইলে কোনো নির্দেশনা দিলে কেউ খুলেও দেখে না। ঢাকা অফিসে কম্পিউটারে কিছু কাজ চললেও ঢাকার বাইরে আরও বেহাল অবস্থা। সেখানে নেই পর্যাপ্ত কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা তা ব্যবহারে দক্ষ কর্মী। ঢাকার সঙ্গে বাইরের অফিসের কোনো ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং কিংবা স্বয়ংক্রিয় সংযোগ ব্যবস্থা নেই। ফলে, যোগাযোগ তো দূরে থাক, প্রতিদিন দাফতরিক তথ্য আপডেট করতে পারে না হেড অফিস।

জানা যায়, কেউ যদি বিটিসিএলের সর্বশেষ আপডেট জানতে চান, তাহলে তাকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে অথবা তিন মাস আগের তথ্য নিতে হবে। কেননা, সারা দেশ থেকে ম্যানুয়ালি তথ্য আসার পর তিন মাস পর পর তথ্য আপডেট করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অনেক সময় আপডেট করতে সময় লেগে যায় তিন মাসেরও বেশি।

বিটিসিএলের ‘জাঁকজমকপূর্ণ’ ওয়েবসাইটটি কখনো বন্ধ থাকলেও দেখার কেউ নেই। এই প্রতিবেদনটি করার আগে বিটিসিএলের ওয়েবসাইটে বারবার চেষ্টা করেও ঢোকা যায়নি। সমস্যার বিষয়ে বিটিসিএলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। পরে ফোন করে ওয়েবসাইটের সমস্যা সমাধান করেন এই কর্মকর্তা।

রামপুরার এক গ্রাহকের অভিযোগ, ওয়েবসাইটে বিল প্রিন্টের মতো ডিজিটাল সেবা চালু করলেও তারা এর সুফল পাচ্ছেন না। সেখানে টেলিফোন বা ইন্টারনেট বিল প্রিন্টের অপশন থাকলেও নিয়মিত বিল পাওয়া যায় না। লগ ইন করতেও ঝামেলা হয়। প্রায়ই সার্ভার ডাউন থাকতে দেখা যায়। তা ছাড়া উন্নত দেশের মতো এখানে অনলাইনে এখনো বিল পরিশোধের ব্যবস্থা চালু নেই।

বিটিসিএল অফিসে একাধারে মেনটেইন্যান্স এন্ড অপারেশন, মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ও ডাটার দায়িত্ব পালন করেন মামলুকার রহমান নামে এক উপ-পরিচালক। সম্প্রতি তার কক্ষে গিয়ে দেখা গেল, টেবিলের ওপর একটি লক্করঝক্কর কম্পিউটার পড়ে আছে। একই রকম আরেকটি সিপিইউ পড়ে আছে ফ্লোরের ওপর। এ কম্পিউটার দিয়েই কাজ চালান তিনি।

ওই কর্মকর্তা জানান, বিটিসিএলে এখনো কোনো ই-মেইল সংস্কৃতি চালু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সব কাজ-কর্মই ম্যানুয়ালি করা হয়। ডিজিটাল ব্যবস্থা না থাকায় সারা দেশ থেকে তথ্য আসতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় কেউ তথ্য চাইলে শেষ মুহূর্তের আপডেট দিতে পারি না। তারপরও মোটামুটি তিন মাস অন্তর আপডেট করার চেষ্টা করি। তবে ক্রমান্বয়ে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।