৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে জবানবন্দি 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে হাজির করা হলে গ্রেফতারকৃত  দেলু এই জবানবন্দি দেয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাহাড়ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.দস্তগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, গত ২৭ মার্চ টেকনাফের হোয়াইক্যং বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন কৃষককে অপহরণ করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এদের উদ্ধার করে। এ মামলার আসামি দেলোয়ার। বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পাহাড়ি এলাকার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। দেলোয়ার হোসেন দেলু শীলখালী এলাকার মৃত আলী হোসেন পেটুর ছেলে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে জড়িত থেকে রোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনাসহ ঘটনার বিষয়ে নিজের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেছেন। এ অপহরণ চক্রের পিছনে আশ্রয়দাতাসহ সিন্ডিকেটের অনেকের নাম এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে সে জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।