১১ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

টেকনাফে সামাজিক বাগান কেটে রোহিঙ্গা বসতির জন্য ভাড়া বাসা তৈরী!

হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ): টেকনাফে কতিপয় উপকারভোগীদের যোগ-সাজশে সামাজিক বনায়নের চারাগাছ কেটে ভাড়া বাসা তৈরী করে রোহিঙ্গাদের ভাড়া নিয়ে কাঁচা পয়সা রোজগারের জন্য সামাজিক বাগানের ৮২হাজার চারাগাছ ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,২৫নভেম্বর ভোররাত ৩ টারদিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী বনবিটের নয়াপাড়ায় সৃজিত ৭৫একরের সামাজিক বাগানে কতিপয় উপকারভোগীদের ইন্ধনে একদল রোহিঙ্গা বসতি গড়ার জন্য সামাজিক বাগানের চারাগাছ কেটে বাসা তৈরী করার খবর পেয়ে সকালে মোচনী বিটের এফজি সালাহ উদ্দিন, পলাশ ভৌমিক, সামাজিক বনায়নের অংশীদার কমিটির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক বদিউর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইসমাইলসহ বন বিভাগ, পাহারা দল (সিপিজি) ও সৃজিত বাগানের অংশীদার কমিটির সদস্যরা বাঁধা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সুবিধাভোগী বিশেষ মহলের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা উত্তেজিত হয়ে জড়ো হলে উচ্ছেদকারীরা ফিরে আসে। সৃজিত বাগানে অংশীদারে থাকা সদস্যরা জানান, চলতি বছরের গত জুন মাসে ৭৫ একরের এই ভূমিতে ২০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন প্রজাতির ৮২হাজার চারা রোপন করা হয়। মিয়ানমার হতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের মানবিক আচরণের সুযোগে সুবিধাভোগী ও মুখোশধারী একটি চক্র রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বসতি তৈরী করে পরে ভাড়া আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করার লক্ষ্যে এই অপতৎপরতা বলে সচেতন মহল আলোচনা করতে শুনা গেছে। তদন্ত স্বাপেক্ষ রোহিঙ্গাদের উস্কানী দাতাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দরকার বলে সুশীল সমাজ মনে করেন।


এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন,বিষয়টি বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় সামাজিক বাগানের অংশীদারেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান তিনি। টেকনাফ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তাপস কান্তি জানান,বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সেই সিদ্বান্তের আলোকে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির সাংবাদিকদের জানান,বাগানের অংশীদারেরা আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তবে অংশীদারদের কারো যোগ-সাজশের মাধ্যমে রোহিঙ্গা বস্তি বসিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।