২০ আগস্ট, ২০২৫ | ৫ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৫ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

একজনের মাথায় ১২ সেলাই

টেকনাফে প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রসহ ৭ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হাদুরছড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সহ একই পরিবারের  ৭ জন মারাত্নক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র  মো. আরফি (২০)  রশিদা বেগম (৩৮), মো. হারুন( ৩৪), কক্সবাজার সিটি কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্র মো. ফারুক(২৫)। তারা চার জনই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র  মো. আরফি (২০) মাথায় ১২ টি সেলাই দেয়া হয়েছে হয়ে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদের মাথায়, পিটে, হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। আহত ৭ জনের মধ্যে জহির আহমদ (৬৫), জোস্না আক্তার (২০), ফাতেমা খাতুন (৫০) টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদেরও জখম হয়েছে বলে দাবি করেছেন আহতদের পরিবার।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র  মো. আরফি জানান, প্রতিদিনের মতো  বুধবার রাতে বাড়িতে সবাই অবস্থান করছিল। হঠাৎ সাবারাং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিক আহমদ ও  তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সোলতান আহমদের নেতৃত্বে  ১৫/২০ জন লোক তাদের বসতঘর ঘেরাও করে। একপর্যায়ে  কিছু বুঝে উঠার আগে  তার বড় ভাই  হারুনের উপর হামলা চালায়। পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও উপরও হামলা চালায়। এতে পরিবারের ৭ সদস্য আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র মো. আরফি আরো দাবি করেন, ইতিপূর্বেও ওই মেম্বারের নেতৃত্বে তাদের পরিবার সহ এলাকার অন্য লোকজনদের উপর হামলা চালায় তারা।
অভিযোগের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিক আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন।৷ বিষয়টি নিয়ে উল্টো তার অপর ভাই সাবেক মেম্বার সোলতান আহমেদের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দেন।
তার পরামর্শ মতে গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫ টার দিকে মুঠোফোন সাবেক মেম্বার সোলতান আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার ছোট ভাই হোসেন আহমেদ এর মেয়ে এক ছেলে সাথে বিয়ে ঠিক হয়। জহির আহমেদ এর ছেলে আরিফ এতে বাঁধা দেয়। এবং নানা অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি বুধবার রাতে আরিফের পরিবারকে জানানোর জন্য গেলে উল্টো তাদের হামলার চেষ্টা চালায়। ওই সময় আমাদের ক্ষু্দ্ধ লোকজন তাদের উপর হামলায় চালায়। এতে জহিরের পরিবারের লোকজন আহত হয় বলে অপকটে স্বীকার করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছুটি থাকায় থানা দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আবদু রাজ্জাকের মুঠোফোন কয়েকদফা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।