১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

টেকনাফে দূর্যোগ আবহাওয়ার ক্ষতি মাথায় নিয়ে আবারো লবণ মাঠে চাষীরা


টেকনাফে বিগত কয়েক দিনের ভারীবর্ষণে লন্ড-ভন্ড হয়ে পানিতে ভেসে যাওয়া হাজার হাজার একর লবণ মাঠের চাষীরা ক্ষয়ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে পুনরায় লবণ চাষে নেমে পড়েছে। আবারো দূর্যোগ আবহাওয়ার কবলে না পড়লে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছে চাষীরা।
জানা যায়-১৫মার্চ সরেজমিনে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রৌদ্র উজ্জ্বল আলোয় লবণ চাষীরা মাঠ মেরামত,পলিথিন বিছানো,পানি ঢুকানোসহ নানা কাজে ব্যস্থ রয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে শ্রমিকেরা কয়েকদিন বিশ্রাম পেলেও মালিকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আবহাওয়া ভাল হওয়ায় তারা দ্রুত ক্ষতি পুষিয়ে তোলার জন্য অবিরাম কাজে নেমেছে। গত ১০মার্চ ভোররাত হতে হঠাৎ বৃষ্টিতে টেকনাফে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে ৩-৪ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী হওয়ায় চারদিকে পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই বৃষ্টি ৩/৪দিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকায় উপজেলার পৌর এলাকা ও হোয়াইক্যং,হ্নীলা,সদর ও সাবরাং ইউনিয়নের হাজার হাজার একর লবণের মাঠ পানিতে প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যায়। শত শত লবণ চাষী কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গত বছর লবণের চড়া দাম পাওয়ায় টেকনাফের লবণ চাষীরা আরো বেশী জমিতে লবণ চাষের দিকে ঝুকেঁ পড়ছিল। লবণের উৎপাদনও ভাল হতে থাকায় হঠাৎ দূর্যোগ আবহাওয়ার কবলে পড়ে। গত বছর ৮৮হাজার ২শ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন হয়। গত ২০১৫-২০১৬ইং মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় ২হাজার ৭শ একর জমি হতে ৮৮হাজার ২শ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এদিকে হ্নীলা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাবের খান জানান,হ্নীলাসহ উপজেলার লবণ চাষ অধ্যূষিত এলাকার লবণ চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হয়তো আগামীতে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে মৌসুম ভাল হলে আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে সরকারকে দেশীয় লবণ মওজুদে সহায়তা করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহাম্মদ আনিম বলেন,এই বৃষ্টিতে লবণ চাষ বাবদ আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। দূর্যোগ আবহাওয়া কাটিয়ে বর্তমান আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে ইনশল্লাহ লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে টেকনাফ বিসিক কার্য্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান,চলতি বছর কক্সবাজার জেলায় ১৮লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে লবণ চাষ ব্যাহত হয়েছে। আগামীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষীরা আরো ভাল লবণ উৎপাদনে যেতে পারবেন বলে আশা করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।