২২ আগস্ট, ২০২৫ | ৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৭ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

টেকনাফে দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বন্দুকযুদ্ধে নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতরা হলো—টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার গ্রামের দিল মোহাম্মদ ওরফে ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন ওরফে নূর হাফেজ (৩২) এবং হ্নীলার সাব্বির আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৬)। নূর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী।

এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নিহত এই দুজনসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে ৮ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্রসহ আটক করেছিল র‌্যাব-১৫।

পুলিশ জানায়, আটকের পর নূর হাফেজ ও সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার ভোরে পুলিশের একটি দল হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে পৌঁছালে তাদের ছিনিয়ে নিতে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় অস্ত্র, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৮টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতাবস্থায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও আনা হয়। তাদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।