
হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ): টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে এক অসহায় দরিদ্র মায়ের জীবনে একটু সুখের পরশ এনে দিতেই সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া গমন করে ৩বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে এক যুবক। তবে বৃদ্ধ মায়ের আশংকা টাকার জন্যই দালালেরা ছেলেকে গুম করে ফেলেছে। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী মা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জানা যায়,বিগত ২০১৫ইং সনের শুরুর দিকে যখন টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচারের উৎসব চলে। তখন উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র দেলোয়ার হোছন (২১) প্রকাশ এনাম দালালের খপ্পরে পড়ে টেকনাফ সদর ইউপি পয়েন্ট দিয়ে দুঃখী মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। তখনে পৌঁছে মায়ের সাথে শেষ কথা হয় এনামের। মুঠোফোনে বলে মা আমি মালয়েশিয়া পৌঁছেছি। অমুক দালালকে টাকা দিয়ে দেন। মা ছেলের কথামত দালালকে ৬হাজার টাকা পরিশোধ করে। টাকা নেওয়ার কিছুদিন পর স্থানীয় উক্ত দালাল মারা যান। এরপর হতে নুর আয়েশা বেগমের নাড়ি ছেঁড়া শেষ সম্বল এনামের আদৌ পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি। একমাত্র ছেলের শোকের মা এখন পাগল প্রায়।
গর্ভধারিণী মা জানান,এনামের বয়স যখন ৬বছর তখন তার বাবা আবুল কাশেম এক ছেলে ও চার মেয়ে রেখে ইন্তেকাল করেন। সে বাড়ির বড় ছেলে হওয়ায় মা ও বোনদের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে রিক্সার প্যাডেলে পা দিয়ে জীবন সংগ্রামে নেমে পড়ে। উপযুক্ত হওয়ায় মা-ছেলে মিলে একে একে চার বোনকে স্বামীর সংসারে দেয়। এরপর মায়ের মুখে হাসি ফোঁটানো এবং নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে দালালের প্ররোচনায় পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। দীর্ঘ ৩বছর পর্যন্ত খোঁজ না পাওয়ায় ছেলের শোকে মা এখন পাগলের মতো হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সহায় সম্বলহীন মা নুর আয়েশা ২য় মেয়ে সৌদি আরবে কাজের মেয়ে হিসেবে কর্মরত বিধবা হাসিনার হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার বাড়িতে দুই ছেলে-মেয়েদের দেখাশূনা করে অবস্থান করছে। উক্ত বাড়িতে মাঝে-মধ্যে পুত্র শোকের কান্নায় মা নূর আয়েশা জ্ঞান হারাচ্ছে। বৃদ্ধা নুর আয়েশার সাথে কথা বললে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,বাবা মালয়েশিয়া যেতে গিয়েই নিখোঁজ হওয়া আমার ছেলে দেলোয়ার হোছন (২১) প্রকাশ এনামের খবর ৩বছর ধরে পাচ্ছিনা। আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তায় আমার ছেলের সন্ধান কামনা করছি। এক বুকখালি মায়ের আহাজারী বন্ধে যথাযথ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উভয় দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করে তিনি।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।