১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

টেকনাফে ডুবন্ত নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গা নারী-শিশু উদ্ধার

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ  এলাকায় গত ১৫ অক্টোবর সর্বশেষ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ মরদেহ উদ্ধারের দশদিন পার না হতেই  আবারো ডুবন্ত নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে নারী-শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।  বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৪ টার দিকে শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ডুবতে ডুবতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি।
এই ঘটনায় উদ্ধার ৩৫ নারী, শিশু ও পুরুষকে স্থানীয় দাংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এটি ছাড়াও রোহিঙ্গা বোঝাই আরো কয়েকটি নৌকা এসেছে বলে দাবি করেছে উদ্ধার হওয়ারা।
স্থানীয় আবদুল মাবুদ ও হুমায়ুন রশীদ জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের আগে শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় একটি নৌকা এসে চরে আটকে ডুবে যাচ্ছে বলে খবর আসে। এটি জানার পরই লাশের মিছিল থামাতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা ডুবন্ত নৌকাটি থেকে রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের দ্রুত নামিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ায় নিশ্চিত মৃত্যুরর হাত থেকে রক্ষাপায় বেশ কয়েকজন নারী-শিশু।
টেকনাফ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বরাত দিয়ে বলেন, নৌকাটি চরে এসে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে।
উদ্ধার হওয়াদের বরাত দিয়ে তিনি রেজাউল করিম বলেন, রাখাইনের নাইক্যংদিয়া এলাকা দিয়ে তারা মঙ্গলবার রাতে নৌকায় উঠে। ভোরে নৌকাটি বাংলাদেশ উপকূলে আসার পর বঙ্গোপসাগরের তীরে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। এসময় নারী-শিশুদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে মৃত্যুরর হাত থেকে রক্ষা করেছে। 
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিয়ানমারের মংডুর শহরের দংখালী গ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকা বাংলাদেশ সীমানায় এসে সর্বশেষ ডুবেছিল। এঘটনায় ১৪ নারী-শিশু ও পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই নৌকায় ৬০-৬৫ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল যার মধ্যে প্রায় ৩০ জন শিশু। নৌকাডুবির পর বিভিন্নভাবে জীবিত পাওয়া যায় ২১ জনকে। তার মধ্যে শিশু ছিল সাতজন। বাকিদের হদিস আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই ছোট-বড় ২৬টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৮৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। অন্যজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি। এদের মধ্যে ৯১টিই শিশু। নৌকাডুবি ও লাশের মিছিল থামাতে কঠোরতা অবলম্বন করছে বিজিবি, কাস্টগার্ড ও পুলিশ। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা পারাপার থামছে ননা রোহিঙ্গাদের। ###

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।