২৩ আগস্ট, ২০২৫ | ৮ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৮ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

টইটংয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অট্রালিকা স্থাপনা নির্মান করছে প্রভাবশালী!

shomoy
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বনবিভাগের সংরক্ষিত বনভুমিতে অবৈধ অট্টালিকা স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করেছে এক প্রভাবশালী। আর এবিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির মালিক পরিচয় দেয়া নুর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় বন বিভাগের রেঞ্জার, বিট কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই ম্যানেজ করে সম্মতি নিয়েই এ নির্মান কাজটি সম্পন্ন করছেন। ঘটনাটি ঘঠছে, উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধনিয়াকাটা পূর্বপাড়া এলাকায়। ১এপ্রিল বুধবার দুপুরে এপ্রতিবেদক, গ্রামটির পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে, ধনিয়াকাটা ষ্টেশনের পূর্ব পাশের্^ মহল্লায় দেখা গেছে যে, ওই এলাকার জনৈক মৌলভী মোজাফ্ফর নামক এক ব্যক্তির বসতভিটার পাশে বারবাকিয়া বাজারের ফার্মেসী দোকানদার মোজাম্মেল ও তার সহোদর নুর মোহাম্মদ নামের প্রভাবশালীরা পাহাড়ি ঠিলা কেটে সেখানে অট্টালিকা স্থাপনের নির্মানের কাজ চালাচ্ছেন। এসময় স্থাপনা ও পাহাড় কাটার চিত্র ধারন করতে চাইলে বাড়িটিতে অবস্থানরত নুর আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে উদ্দেশ্যহীন হাকাবকা শুরু করেন। এসময়, বসতিটির প্রয়োজনীয় দলিলপত্র খতিয়ান সম্পর্ক্যে জানতে চাইলে ওই বাড়ির বৃদ্ধা মালিক পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি বলেন, বসতভিটাটি বনবিভাগের সংরক্ষিত রিজার্ভ বন ভুমি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। সংরক্ষিত রিজার্ভ বনভুমির জায়গায় স্থাপনা নির্মানে বন বিভাগ এর অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ওই বৃদ্ধা প্রতিউত্তরে জানান, রেঞ্জার ও বিট কর্মকর্তা ছাড়াও সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করার পরই তিনি এ নির্মান কাজ শুরু করেছেন। এ প্রতিবেদকের একের পর এক প্রশ্নে বিব্রত ও উত্তেজিত হয়ে ওই বসতঘরের উপস্থিত মালিক নুর আহমদ উল্টো প্রতিবেদককে প্রশ্ন করে বলেন, তার বাড়িতে ডুকার অনুমতি কে দিয়েছে? আর তার ভিটায় কি করলো কি করছে বা কি করবে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব সাংবাদিকদের কে দিয়েছেন? বলে জানতে চান। এ সাংবাদিক প্রতিবেদকের সাথে পাল্টাপাল্টি প্রশ্ন উত্তর বিনিময় চলাকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বারবাকিয়া বাজারের মোজাম্মেল নামের এক ফার্মেসী দোকান মালিক। প্রথমে পরিচয় জেনে নিয়ে পরে তিনি এ প্রতিবেদককে তার ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাড়ির লোকজনদের সম্পর্ক্যে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা ভিন্ন আর জঘন্য হিসাবে মন্তব্য করায় তাদের সায় না দিয়েই ফিরে আসেন এপ্রতিবেদক। বারবাকিয়া বন বিট কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে, বিষয়টি সম্পর্ক্যে তিনি অবগত নয় ও ম্যানেজ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা মন্তব্য করে শীঘ্রই সরোজমিন পরিদর্শন করে সংরক্ষিত বন ভুমিতে অট্টালিকা স্থাপনা নির্মানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।