২২ আগস্ট, ২০২৫ | ৭ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৭ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

জেলায় তেলাপিয়া বিপ্লব

full_425481692_1442844040
কক্সবাজার জেলাব্যাপী সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার বাগদা চিংড়ি ঘের ও মৎস্যখামার সমূহে তেলাপিয়া মাছ চাষে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছেন খামারীরা। ঘেরের মৃদু লবনাক্ত পানিতে ইতিপূর্বে চাষকৃত তেলাপিয়া মাছ এখন বড় হয়ে আহরনের উপযোগী হয়েছে। ঘের থেকে প্রতিদিন শত শত কেজি তেলাপিয়া মাছ আহরন করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী-কুতবদিয়াসহ পেকুয়া, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলায় তেলাপিয়া চাষের বিভিন্ন বাণিজ্যিক খামার ঘুরে জানা গেছে, সমুদ্র উপকুলীয় এসব বিস্তীর্ন এলাকায় লবন উৎপাদন মৌসুমে শেষে বিগত মে মাসে প্রজেক্টে পানি ঢুকিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ শুরু হয়। ঘেরে চিংড়ি পোনা মজুদ করার পর পোনা আহরনযোগ্য হওয়ার আগেই গতবর্ষায় প্রবল বৃষ্টিজনিত কারনে ক্রমাগত পাহাড়ী ঢল ও উচ্চ মাত্রার সামূদ্রিক জোয়ারে সিংগভাগ ঘের প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এসব ঘের মেরামতের পর আবারো কয়েক দফা বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েন চাষী-খামারীরা। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর  তান্ডবেও প্লাবিত হয় অনেক প্রজেক্ট। একই সময়ে মৎস্য এ প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয় কর্তৃক গভীর সাগরে ডীপ-সী ট্রলিং বন্ধ থাকায় বাগদা চিংড়ি হ্যাচারী সমূহ প্রয়োজনীয় মা-চিংড়ি না পেয়ে উৎপাদন চালু রাখতে পারেনি। ফলে খামারীরা চিংড়ি পোনা না পেয়ে ঘেরে তেলাপিয়া মাছের পোনা মজুদ করেন। মনোসেক্স, গিফট ও রেড তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির তেলাপিয়া মাছ মজুদ করার পর নিয়মিত তদারকি ও পরিচর্যার ফলে এখন আহরন উপযোগী হয়েছে। অনেক গিফট ও রেড তেলাপিয়া বাচ্চাও দিয়েছে। এখন আহরন করে এসব মাছ বাজারজাত করা হচ্ছে। বিগত ১১ অক্টোবর থেকে ০২ নভেম্বর ২২ দিন ব্যাপী মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের সময় যখন সাগরে সবধরনের মাছ আহরণ বন্ধ ছিল, তখন বাজারে প্রাত্যহিক মাছের চাহিদা মিটিয়েছে এসব তেলাপিয়া মাছ। সদর উপজেলার পশ্চিম গোমাতলীর উদ্যোক্তা হান্নান মিয়া জানান, তিনমাস আগে প্রজেক্টে চাষ করা তেলাপিয়া পোনা এখন প্রতিটা গড়ে ২৫০ গ্রাম ওজনের তেলাপিয়া মাছে পরিনত হয়েছে। এসব মাছ এখন সুলভ মূল্যে ১০০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অভিজ্ঞ বাবুর্চি এনায়েত উল্লাহ সিকদার জানান, বিয়ে, ফাতেহা-জিয়াফত ও খাওয়া-দাওয়া  সংক্রান্ত অন্যান্য আয়োজনে ফ্রাই আইটেম হিসাবে প্রমান সাইজের আস্ত তেলাপিয়া মাছ ভাজা খুব মানানসই। এভাবে  জনগনের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মিটিয়ে চলছে এসব তেলাপিয়া মাছ। বাগদা চিংড়ি ঘেরে তেলাপিয়া মাছ চাষ করে এখন লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। কক্সবাজার জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশ, জেলার প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর উপকূলীয় মৎস্য খামারে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক  ঘেরে চিংড়ির পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে তেলাপিয়া মাছ চাষে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। চিংড়ি ও মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট এ্যাকোয়া কনসালটেন্সি সূত্র জানায়, নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগ ও পরিচর্যা করলে ৭০/৭৫ দিনেই তেলাপিয়া মাছ আহরণোপযোগী হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।