২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

জাতিসংঘের বিশেষ দূতের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মিয়ানমারে পাশবিকতা মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি দেখতে আবারো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। শনিবার তিনি টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।

ক্যাম্প সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি টেকনাফের দমদমিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর টেকনাফ নেচার পার্কের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ১০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের ওপর নির্যাতনের কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন।

নেচার পার্কের ভেতর সাক্ষাত নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইনদের চালানো নির্যাতনের বর্ণনা ধৈর্য সহকারে শোনেন ইয়াং হি লি।

মিয়ানমারের মংডুর বলিবাজার এলাকার আয়েশা খানম ইয়াং হি লিকে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। নারীদের গণধর্ষণ করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে বাড়িঘর। নিপীড়ন সইতে না পেরে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার মতে, মিয়ানমারে তাদের জীবন নিরাপদ নয়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে ফিরিয়ে দেয়া মানে পুনরায় নির্যাতনের মুখে ঠেলে দেয়া। তার চেয়ে এদেশে গুলিতে মারা যাওয়া ভাল বলে উল্লেখ করেন ইয়াং হি লি’র কাছে।

এরপর বেলা ১টার দিকে তিনি যান টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখান থেকে বেলা দেড়টার দিকে রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সফরকালে তার সাথে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বুধবার রাতে ঢাকায় পৌছান এবং শুক্রবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার আসেন। চলতি মাসে তার মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও সে দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি মিয়ানমারের পরিবর্তে বাংলাদেশে সফরে আসেন। এবার সাত দিনের সফরে ৫ দিন বাংলাদেশে থেকে ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে রাখাইন রাজ্যে হিংস্র অভিযান চালায়। এ সময় তারা নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও গণধর্ষণ চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। এ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনো আসা অব্যাহত রয়েছে। তাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির পরও সীমান্ত পাড়ি দি্েচ্ছ রোহিঙ্গারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।