১২ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক

জাতিসংঘের বিশেষ দূতের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মিয়ানমারে পাশবিকতা মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি দেখতে আবারো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। শনিবার তিনি টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।

ক্যাম্প সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি টেকনাফের দমদমিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর টেকনাফ নেচার পার্কের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ১০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও ১০ জন নারীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের ওপর নির্যাতনের কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন।

নেচার পার্কের ভেতর সাক্ষাত নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও রাখাইনদের চালানো নির্যাতনের বর্ণনা ধৈর্য সহকারে শোনেন ইয়াং হি লি।

মিয়ানমারের মংডুর বলিবাজার এলাকার আয়েশা খানম ইয়াং হি লিকে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। নারীদের গণধর্ষণ করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে বাড়িঘর। নিপীড়ন সইতে না পেরে তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার মতে, মিয়ানমারে তাদের জীবন নিরাপদ নয়। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে ফিরিয়ে দেয়া মানে পুনরায় নির্যাতনের মুখে ঠেলে দেয়া। তার চেয়ে এদেশে গুলিতে মারা যাওয়া ভাল বলে উল্লেখ করেন ইয়াং হি লি’র কাছে।

এরপর বেলা ১টার দিকে তিনি যান টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখান থেকে বেলা দেড়টার দিকে রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সফরকালে তার সাথে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বুধবার রাতে ঢাকায় পৌছান এবং শুক্রবার দুপুরে তিনি কক্সবাজার আসেন। চলতি মাসে তার মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও সে দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি মিয়ানমারের পরিবর্তে বাংলাদেশে সফরে আসেন। এবার সাত দিনের সফরে ৫ দিন বাংলাদেশে থেকে ২৪ জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে রাখাইন রাজ্যে হিংস্র অভিযান চালায়। এ সময় তারা নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও গণধর্ষণ চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। এ অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এখনো আসা অব্যাহত রয়েছে। তাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির পরও সীমান্ত পাড়ি দি্েচ্ছ রোহিঙ্গারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।