২১ আগস্ট, ২০২৫ | ৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৬ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চৌফলদন্ডি, ইসলামপুর ও পোকখালীতে ২ হাজার কাঁচা বাড়ীঘর বিধ্বস্ত


মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডি, ইসলামপুর ও পোকখালীর গোমাতলীতে হাজার হাজার মানুষ নিদারুন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় খাদ্য, পানীয়জল এবং বিদ্যুত সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। চুলা জ¦ালাতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্থরা সেহেরী না খেয়ে পানি খেয়ে রোজা রাখছেন।
পোকখালীর চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, তার ইউনিয়নের ৭, ৮ এবং ৯ ওয়ার্ড গত ২ দিন ধরে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়াতে উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম গোমাতলীসহ বিশালকার এলাকা ৩/৪ ফুট ধরে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলীর হামিজ্জিঘোনা, দক্ষিন ঘোনা, সোজার ঘোনা, বিরাশি ঘোনা, বোরাকঘোনা, কাটাঘোনা, মেজর ঘোনা, আব্দুল্লাখানের ঘোনা, এ ব্লক, ডি ব্লক, ও সি ব্লক ঘোনা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে বাড়ি ঘর, গাছপালা। পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে ২-৩ হাজার মানুষ।
চৌফলদন্ডির ইউনিয়নের ওয়াজ করিম বাবুল জানান, তার ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল এখন ৩/৪ ফুট পানির নিচে রয়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে ইউনিয়নের ২/৩ হাজার মানুষ।
ইসলামুপর ইউনিয়নের মেম্বার কবির আহমদ জানিয়েছেন তার ইউনিয়নের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিন খান ঘোনার সব চিংড়িঘের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দি হয়ে আছে মানুষ।
ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে কুলাল পাড়া, শিয়া পাড়া, দরগাহ পাড়া, কালিরছড়ার পূর্ব ভূতিয়ারপাড়া, মাছুয়াখালী, উত্তর ও মধ্যম মাইজপাড়া এবং জাগিরপাড়া ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, উপড়ে গেছে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি, মরে গেছে হাঁস-মুরগী। ইসলামাবাদে গাছ পড়ে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
গোমাতলীর ৬ নং স্লুইস গেইট পয়েন্টের ভাঙ্গা দিয়ে জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গেছে বেঁড়ী বাঁধ। বেড়ী বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩-৪ হাজার মানুষ। রাতদিন জোয়ার ভাটার প্রভাবে ঘরে ফিরতে পারছেনা মানুষ। ভেসে গেছে কয়েকশ একর চিংড়ি ঘের। পানিবন্দী মানুষ আশ্রয় নিয়েছে স্কুল, মাদ্রাসা এবং মসজিদে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ইসলামপুরে ভেসে গেছে কয়েকটি চিংড়ি ঘের, বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকশ কাঁচাবাড়ীঘর। বিদ্যুত না থাকাতে তথ্য আদান প্রদানে ব্যাঘাত এবং পুরো এলাকা গত ২ দিন ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে। এলাকায় পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকারী সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অপ্রতুল হওয়াতে দুর্গত এলাকার জনগণ ত্রাণের পরিমান বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।