২৬ আগস্ট, ২০২৫ | ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চিংড়ি মাছের ওজন বাড়াতে প্লাস্টিক ও জেল ব্যবহার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

ইমাম খাইর, কক্সবাজার

কক্সবাজার শহরের বড় বাজারে বাগদা চিংড়িতে প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
মাছের দ্রুত পচন ঠেকাতে এবং ওজন বাড়াতে এমনটি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই কাজে জড়িত রয়েছে একটি সিন্ডিকেট।
শনিবার (৪ জুন) বিকেলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহকারীর হাতে অভিনব জালিয়াতি ধরা পড়ে।
পরে অবশ্যই ওই মাছ ফেরত নেন এবং বিক্রিত মাছের বদলে অন্য মাছ দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসকের সহকারি জানান, বড়বাজার থেকে চিকিৎসকের জন্য ২ কেজি বাগদা চিংড়ি কিনেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, ভেজাল। প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মেশানো হয়েছে চিংড়িতে।
তাৎক্ষণিক বিক্রেতার নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে মাছগুলো ফেরত নিয়ে ওই টাকার বদলে ভিন্ন জাতের ছোট মাছ দেন।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, পর্যটন শহরের ব্যবসায়ীরা যদি এমন জালিয়াতি করে, মেনে নেওয়া যায়?
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সচেতন মহল।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছৈয়দ আকবর বলেন, আব্দুল খালেক নামক একজন ব্যক্তি মাছগুলো বিক্রি করেছে। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাদশা ঘোনা। অভিযোগ পাওয়ার পর তার মাছ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন প্রতারণামূলক ব্যবসা যারা করছে তাদের বাজারে মাছ বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহিদ ইকবাল বলেন, এমন কাজটি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সূত্র মারফত জানা গেছে, প্লাস্টিক ও জেল (বিষ) মিশ্রিত চিংড়ি মাছগুলো সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজারে আনছে অসাধু একটি চক্র।

সাগরে মাছধরা নিষিদ্ধের মৌসুমে সংকটের সুযোগে জালিয়াতির পথ অবলম্বন করে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা।
একটি সিন্ডিকেট ফিশারিঘাট ও শহরের বড়বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চায় ভোক্তারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।