১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

চকরিয়া মালুমঘাটে প্রশাসনের আদেশ লঙ্ঘন

চকরিয়া উপজেলাধীন মালুমঘাট বাজারে প্রশাসনের আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মহাসড়ক থেকে মালুমঘাট চা-বাগান প্রবেশ পথে বিল্ডিংএর সানসেট গুলো জনস্বার্থে অতিসত্বর নিজ দায়িত্বে ভেঙ্গে ফেলার কড়া নির্দেশ দেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো পর্যন্ত আমলে নেয়নি ভবন মালিকগণ।
এহেন ওই সান সেটের বাধায় ফায়ার সার্ভিস সহ জরুরী ভিত্তিতে যানবাহন প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। ফলে ওই সড়কের সাথে সংযুক্ত গ্রামবাসীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন গ্রামের কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ড ঘটলে ফায়ার সার্ভিস প্রবেশে অপারগতায় নির্ঘাত পুড়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
চলতি বছরের ৮ফেব্রুয়ারি তারিখে মালুমঘাট কাঁচা বাজারটি আগুনে পুড়ে যায়। সময়মত ফায়ার সার্ভিস এসেও আগুন নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি। কেননা চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ছোট গাড়িটি প্রবেশ করলেও চা-বাগান সড়কের উপর সানসেট থাকায় অপর বড় গাড়িটি প্রবেশ সম্ভব হয়নি। ফলে তরকারী বাজারের সবকটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে বাজার সেটগুলো পুনরায় নির্মান করা হয়। সেট উদ্বোধনকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যে সানসেটগুলো ভেঙ্গে ফেলতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি ভবন মালিকরা।
এব্যাপারে চা-বাগান সড়কদ্বারে নির্মিত ভবন জমজম হোটেল, মুজিব আবাসিক বোর্ডিং, রাইচ মিল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের মালিক নুরুল হক সওঃ প্রকাশ পেক্কাইয়াকে ফোন করা হলে উত্তেজক কন্ঠে “সবগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে” বলে সংযোগ কেটে দেন। অভিযুক্ত বেলাল মার্কেটের মালিক বেলাল উদ্দিন বলেন ”মার্কেটটির মালিক আমি নই, মালিক আমার ভাই। এব্যাপারে আমি কিছু জানি না।”
আসলেই মালুমঘাট বাজারের জায়গার মালিক কেউ নয়, একমাত্র মালিক সরকারী বনবিভাগ। বাজারটি মূলত বন বিভাগের সরকারী জায়গায় প্রতিষ্টিত। বাজার নির্মাণের প্রথমার্ধে সরকারী জায়গাতে অবৈধ স্থাপনা ভবন নির্মাণ পূর্বক দখলে নেয় স্থানীয়রা। সরকারী জায়গা দখলে নিয়ে রীতিমত আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ বুনে গেছে অনেকে। চিরস্থায়ী সম্পদ গঠন করার লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত থেমে নেই প্রভাবশালীদের এই দখল বানিজ্য।
বর্তমানে মালুমঘাট চা-বাগানবাসীর প্রাণের দাবী চা-বাগান সড়কে প্রবেশ পথে সানসেটগুলো ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস সহ জরুরি যান চলাচলের পথ সুগম করা। বিষয়টি নিয়ে গত মাসে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানাল চেয়ারম্যান শওকত আলীকে জানানো হলে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে সানসেটগুলো ভেঙ্গে ফেলার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ফলাফল শুন্য ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি তা সরেজমিনে গিয়ে প্রতীয়মান হয়।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলাম বলেন ভবন মালিকরা নিজেদের উদ্যোগে স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে না ফেললে যে কোন সময় প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।