৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার

চকরিয়া বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়াঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরপর নির্বাচন ভন্ডুলে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়াসহ দলের ৩৬জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে চকরিয়া থানার এসআই মো.আলমগীর আলম বাদি হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলাটি (মামলা নং ১৬) রুজু করেছেন। মামলার এজাহারে বিএনপির ২৪জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্য করে আরো ১০-১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলাটি রুজুর পর চকরিয়ায় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে বুধবার রাতে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বৈরাগীর খীল নিজবাড়ি থেকে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোকন মিয়াসহ আটক সাত নেতাকর্মী এবং গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের অভিযানে আটক একজনসহ আট নেতাকর্মীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে। মামলার প্রাথমিক শুনানী শেষে আদালতের বিচারক গতকাল বিকালে আটক বিএনপির আট নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলাটি তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী।
মামলার বাদি চকরিয়া থানার এসআই মো.আলমগীর আলম বলেন, গতকাল চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত যাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আদালতে পাঠিয়েছেন তাঁরা হলেন, চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাফর আহমদ, চকরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবদুস ছালাম, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নূরুল আজিম, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন, ছাত্রদলের ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ হেলাল ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুরচর এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে মফিজুর রহমান মুসা।
চকরিয়া থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহারে আটক আটজন ছাড়াও আসামি করা হয়েছে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের আরও ১৬ নেতাকর্মীকে। তাঁরা হলেন চকরিয়া পৌরসভার বিনামারা এলাকার মৃত মাওলানা শফিউল আলমের ছেলে চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাদারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফখরুদ্দীন ফরায়েজী, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িপুকুর এলাকার ইয়াকুব আলী ছেলে চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল কাঁকন, পূর্ববড় ভেওলার আনিচ পাড়া এলাকার মৃত মীর কাশেমের ছেলে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, কোনাখালী বাংলা বাজার এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে সালাউদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা এলাকার মৃত আবদুল গনির ছেলে চকরিয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক রানা হামিদ, চকরিয়া পৌরসভার হাজিয়ান এলাকার মৃত আলী চান সওদাগরের ছেলে চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মোবারক আলী, খুটাখালী ইউনিয়নের ছাবের আহমদের ছেলে মো. আনিছুর রহমান, চকরিয়া পৌরসভার কাজী পাড়া গ্রামের মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সুয়াজানিয়া এলাকার মৃত দুলাল আহমদের ছেলে বখতিয়ার, বরইতলী ইউনিয়নের খরাতিপাড়া এলাকার আবদুস ছোবাহানের ছেলে হাবিব উল্লাহ, বরইতলী ইউনিয়নের উপর পাড়া এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে ইউসুফ, চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল পাড়া গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের ছেলে চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এসএ জয়নাল আবেদীন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে নজির আহমদ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল এলাকার হাজী নুরুল কাদেরের ছেলে ওবাইদুল্লাহ নুর সিদ্দিকী, পূর্বপাড়া ৬নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নূর আহমদের ছেলে মহিদুল।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর নির্বাচন ভন্ডুলের অংশ হিসেবে চকরিয়া অচল করে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে গোপনে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছিল। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন এ ধরণের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন।
ওসি বখতিয়ার চৌধুরী বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাতে চকরিয়া থানার পুলিশের একটিদল উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই সময় তাদের হেফাজত থেকে চকরিয়া অচল করে দেয়ার পরিকল্পনার চিরকুট ও লাটিসোটাসহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোকন মিয়াসহ অপর ৭ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদেরকে গতকাল আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।