১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

চকরিয়ায় পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করছে প্রভাবশালী ভুমিদস্যুরা

Picture Chakaria  23-03-2015.psd
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর অন্তত ছয়টি বড় আকারের পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বনকর্মীরা প্রায় ৪-৫বছর আগে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আয়তনের প্রভাবশালী লোকদেরকে বনাঞ্চলের ভেতর অন্তত একশত একর জায়গায় পুকুর তৈরী করে মৎস্য চাষের জন্য অলিখিত অনুমতি দেন। এ অবস্থার কারনে সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এলাকাবাসি জানায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি রেঞ্জের প্রস্তাবিত ন্যাশনালের পুর্বপাশে খুটখালী বনবিটের অধীন এলাকায় বনাঞ্চলের ভেতর ইতোমধ্যে বড় আকারের তিনটি পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ শুরু করেন স্থানীয় প্রভাবশালী কামাল উদ্দিন, আমির সুলতান, মৌলভী আবু তৈয়ব, ছরওয়ার আলম ওরফে ছরু। তাদের পাশে একটু ভেতরে বড় আকারের আরো তিনটি পুকুর তৈরী করে মৎস্য চাষ উপযুগী করেন একই এলাকার শাহাজাহান, শাহজালাল ও হুমায়ুন কবিরসহ তাদের সহযোগিরা।
স্থানীয়রা জানান, ৪-৫বছর আগে বনাঞ্চলের ভেতরে পুকুর তৈরী করে মৎস্য চাষ করলেও জড়িতরা বনবিভাগ থেকে এব্যাপারে কোন ধরণের অনুমতি নেয়নি। তবে পুকুর গুলো খনন করার সময় তৎকালীন স্থানীয় বনকর্মীরা প্রথমে বাঁধা দিলেও পরে আর্থিক সুবিধা নিয়ে রহস্যজনক নীরবতা পালন করে। বর্তমানে তাঁরা এসব পুকুর প্রতিবছর লাগিয়ত দিয়ে মৎস্য চাষীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সরেজমিন মৎস্য চাষ প্রকল্পে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে উপস্থিত পুকুর গুলো লাগিয়ত নিয়ে মৎস্য চাষে সম্পৃক্ত কয়েকজন চাষী জানান, তাঁরা একবছর মেয়াদে পুকুর গুলো সংশ্লিষ্ট দখলদারদের কাছ থেকে লীজ নেন। একটি পুকুর প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা লাগিয়ত দিতে হয়। জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, বনবিভাগ থেকে পুকুর গুলো খননের জন্য অনুমতি নিয়েছে কি-না তা আমাদের জানা নেই।
বিষয়টি প্রসঙ্গে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ডিএফও মো.শাহ-ই-আলম বলেন, খুটাখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর মৎস্য চাষ করার ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।