৩ মে, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৪ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

চকরিয়ায় ডির্ভোসি স্ত্রীকে ফাঁসাতে গিয়ে দেবর গ্রেপ্তার: স্বামী পলাতক

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় ডির্ভোসি স্ত্রী শেফায়েতুন্নেছাকে ফাঁসিয়ে নারী নির্যাতন মামলা থেকে রক্ষা পেতে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেছে স্বামী ও দেবরের। উল্টো মামলায় আসামী হয়ে স্বামী আহমদ উল্লাহ পলাতক থাকলেও গ্রেপ্তার হয়েছে দেবর আওয়ামীলীগ নেতা শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহ ও তার দোকান কর্মচারী ওসমান গনি। রোববার রাতে চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে এক হাজার পিচ ইয়াবা ও নারীসহ তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশের এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশদল।

গ্রেফতার হওয়া আহসান উল্লাহ মহেশখালীর মাতারবাড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি তার ভাই মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী আহমদ উল্লাহ বর্তমানে লামা উপজেলা ফাইতং এলাকায় স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছেন। এহেসান ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। অপর গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয় আসামী ওসমান গণি আওয়ামীলীগ নেতা এহেসান উল্লাহর দোকান কর্মচারী।

পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে ওসমান গণি নামের এক ব্যক্তি ফোনে থানায় খবর দেয় এক নারী ইয়াবা পাচার করছে। এই খবর পেয়ে থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এনামুল হক পুলিশ ফোর্স নিয়ে থানায় রাস্তার মাথায় পৌছে ওই নারী ও সোর্সকে থানায় নিয়ে যায়। তাদের সাথে যায় আহাসান উল্লাহ।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, সোর্সের ভাষ্য অনুযায়ী থানায় নেয়া নারীর শরীর তল্লাশি করানো হয় মহিলা পুলিশ দিয়ে। শরীরের ইয়াবা না পেয়ে হাতে থাকা বাজারের ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় এক হাজার পিচ ইয়াবা। ওই ইয়াবা নিয়ে প্রশ্ন করলে শেফায়েতুন্নেছা কোন কিছু জানেনা এবং ইয়াবা কি তাও চিনেন না বললে ঘটনা নিয়ে সন্দেহ জাগে।

তিনি আরো বলেন, পরে ঘন্টাব্যাপী সোর্স ওসমান গণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই সোর্স জানায় আহামদ উল্লাহ শেফায়েতুন্নেছাকে তালাক দিয়ে অন্য একটি নারীকে বিয়ে করে। ফলে, শেফায়েতুন্নেছা স্বামী ও দেবরসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেন। নানাভাবে চাপ ও হুমকি-ধমকি দেয়া সত্বেও মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেসান উল্লাহ তার দোকান কর্মচারী ওসমান গণিকে দিয়ে শেফায়েতুন্নেছার বাজারের ব্যাগে ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে চেষ্টা করে।
এঘটনায় শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহ, ওসমান গণি ও আহামদ উল্লাহকে আসামী করে এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান আরো বলেন, ইয়াবার ঘটনায় সন্দেহ জাগায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও এলাকায় ব্যাপক খোঁজ নিয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হয়েছে। এতে ফাঁসতে যাওয়া নারী রক্ষা পেয়েছে। আসামী হয়েছে ওই নারীকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আহমদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।