২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

চকরিয়ায় ডির্ভোসি স্ত্রীকে ফাঁসাতে গিয়ে দেবর গ্রেপ্তার: স্বামী পলাতক

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় ডির্ভোসি স্ত্রী শেফায়েতুন্নেছাকে ফাঁসিয়ে নারী নির্যাতন মামলা থেকে রক্ষা পেতে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা বিফলে গেছে স্বামী ও দেবরের। উল্টো মামলায় আসামী হয়ে স্বামী আহমদ উল্লাহ পলাতক থাকলেও গ্রেপ্তার হয়েছে দেবর আওয়ামীলীগ নেতা শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহ ও তার দোকান কর্মচারী ওসমান গনি। রোববার রাতে চকরিয়া পৌরশহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে এক হাজার পিচ ইয়াবা ও নারীসহ তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশের এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এসআই এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশদল।

গ্রেফতার হওয়া আহসান উল্লাহ মহেশখালীর মাতারবাড়ির হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি তার ভাই মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী আহমদ উল্লাহ বর্তমানে লামা উপজেলা ফাইতং এলাকায় স্ব-পরিবারে বসবাস করে আসছেন। এহেসান ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন। অপর গ্রেপ্তারকৃত এজাহারনামীয় আসামী ওসমান গণি আওয়ামীলীগ নেতা এহেসান উল্লাহর দোকান কর্মচারী।

পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে ওসমান গণি নামের এক ব্যক্তি ফোনে থানায় খবর দেয় এক নারী ইয়াবা পাচার করছে। এই খবর পেয়ে থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী ও এনামুল হক পুলিশ ফোর্স নিয়ে থানায় রাস্তার মাথায় পৌছে ওই নারী ও সোর্সকে থানায় নিয়ে যায়। তাদের সাথে যায় আহাসান উল্লাহ।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, সোর্সের ভাষ্য অনুযায়ী থানায় নেয়া নারীর শরীর তল্লাশি করানো হয় মহিলা পুলিশ দিয়ে। শরীরের ইয়াবা না পেয়ে হাতে থাকা বাজারের ব্যাগ তল্লাশি করে পাওয়া যায় এক হাজার পিচ ইয়াবা। ওই ইয়াবা নিয়ে প্রশ্ন করলে শেফায়েতুন্নেছা কোন কিছু জানেনা এবং ইয়াবা কি তাও চিনেন না বললে ঘটনা নিয়ে সন্দেহ জাগে।

তিনি আরো বলেন, পরে ঘন্টাব্যাপী সোর্স ওসমান গণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই সোর্স জানায় আহামদ উল্লাহ শেফায়েতুন্নেছাকে তালাক দিয়ে অন্য একটি নারীকে বিয়ে করে। ফলে, শেফায়েতুন্নেছা স্বামী ও দেবরসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেন। নানাভাবে চাপ ও হুমকি-ধমকি দেয়া সত্বেও মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেসান উল্লাহ তার দোকান কর্মচারী ওসমান গণিকে দিয়ে শেফায়েতুন্নেছার বাজারের ব্যাগে ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশকে ধরিয়ে দিয়ে ফাঁসাতে চেষ্টা করে।
এঘটনায় শেখ এইচএম এহেসান উল্লাহ, ওসমান গণি ও আহামদ উল্লাহকে আসামী করে এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান আরো বলেন, ইয়াবার ঘটনায় সন্দেহ জাগায় তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও এলাকায় ব্যাপক খোঁজ নিয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হয়েছে। এতে ফাঁসতে যাওয়া নারী রক্ষা পেয়েছে। আসামী হয়েছে ওই নারীকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আহমদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।