
চকরিয়ার পৌরশহরের সমিতি মার্কেটের শতাব্দী জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানের এক কর্মচারিকে চুরি অপবাদ দেওয়ায় অপমানে এসিডপান করে আত্মহত্যা চেষ্ঠা করেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে পৌরশহরের হিন্দুপাড়ায় এঘটনা ঘটে। স্বর্ণ কর্মচারির নাম অনিমেষ ধর (৪২)। তিনি উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ধরপাড়া এলাকার ব্রজ হরিধরের পুত্র।
অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরশহরের শতাব্দী জুয়েলার্স স্বর্ণের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছে অনিমেষ। বিভিন্ন সময় তাকে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা কওে অসছে মালিক কেশব ধর। তার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করা সময় মালিক কেশব ধর অনিমেষকে চুরির অপবাধে গালিগালাচ করে। এতে সে অপমাণে সকালে এসিডপান করে আত্মহত্যার চেষ্ঠা চালায়। পরে তাকে ¯’ানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অনিমেষ বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অব¯’ায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭এপ্রিল রাতে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে নন্দরাম মহাজনের বাসাবাড়িতে বিজিবি অভিযান চালায়। এসময় বেশ কিছু স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়। ওই সময় নন্দরাম মহাজনের পরিবার পক্ষ থেকে শতাব্দী জুয়েলার্সের মালিক কেশব ধরকে বেশ কিছু প্যাকেট স্বর্ণ জমা রাখে। কিš‘ কেশব এর থেকে এক প্যাকেট স্বর্ণ গায়েব করে রাখে। তা পুরো ঘটনা তার স্বর্ণের দোকানের কর্মচারি অনিমেষ ধর জানত। তাই অনিমেষকে দীর্ঘদিন ধরে দোকান থেকে বের করে দেওয়ার অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। গত শনিবার রাতে স্বর্ণ চুরির আপবাদ দেয় দোকান মালিক। এতে সে এসিডপানে আত্মহত্যার চেষ্ঠা চালায়।
অনিমেষ ধরে ছোট ভাই চন্দন ধর বলেন, আমার বড় ভাই শতাব্দী জুয়েলার্সে দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছে। এসিডপানে তার শারীরিক অব¯’া গুর“তর। দোকান মালিকের চুরির অপবাদ সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা চেষ্ঠা চালায়।
অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে দোকান কর্মচারির বলেন, অনিমেষ একজন দক্ষ স্বর্ণ কারিগর ও সৎ কর্মচারি ছিল। তার পরিবার চিরিংগা হিন্দুপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিš‘ দীর্ঘ দিন ধরে তার পরিবারিক কলহ ছিল। সে কারণে অনিমেষ আত্মহত্যার চেষ্ঠা করতে পারে। আর আগেও অনিমেষ তার স্ত্রীর সাথে রাগ করে আত্মগোপন হয়ে যায়। পরে আবার ফিরে আসে।
জানতে চাইলে পাশ্ববর্তী রূপম জুয়েলার্সের মালিক বলেন, আমরাও অনিমেষ এসিড খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। সে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে পুরো ঘটনা জানা নেই।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।