৯ মে, ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট

চকরিয়ায় উপকুলীয় সাত ইউনিয়নের জনবসতি এখনো কয়েক ফুট পানিতে

Picture Chakaria
চকরিয়ায় টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবার ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের বেশির ভাগ জনপদ। বানের পানিতে ভাসছে এ অঞ্চলের কোণাখালী, বিএমচর, পুর্ববড় ভেওলা, পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া, বদরখালী ও সাহারবিলসহ সাত ইউনিয়নের বির্স্তীন এলাকা। এসব এলাকার বন্যাদুর্গত লোকজন পরিবার সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর। বেশির ভাগ পরিবার পলিটিনের ঝুঁপড়ি তৈরী করে সেখানে বসবাস করছেন কয়েকদিন ধরে।
উপজেলার কোণাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম ও ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে মাতামুহুরী নদীর পানি বর্তমানে নীচে নেমে গিয়ে তাদের ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় সয়লাভ হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার। পানিতে ভেসে গেছে বিপুল পরিমাণ মৎস্য প্রকল্পের মাছ। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল ও বীজতলা। বন্ধ রয়েছে আভ্যন্তরিণ এলাকার সড়ক যোগাযোগ। বসতবাড়ি ও টিউবওয়েল পানিতে নিমজ্জিত থাকায় দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও রান্না করা খাবার নিয়ে চরম সংকটে পড়েছে উপকুলের বেশির লোকজন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.আহসান উল্লাহ বলেন, চকরিয়া উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসনের দেয়া ৪০ মেট্রিক টন চাউল রোববার উপজেলার আঠার ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এর আগে বিতরণ করা করা হয়েছে বরাদ্ধের ৩৫ বস্তা চিড়া, ৪৩ বস্তা মুড়ি ও ৩০ কার্টুন গুড়। তিনি বলেন, উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য সমীক্ষা চলছে। এব্যাপারে সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের লোকজন কমবেশি বন্যা মুক্ত হলেও উপকুলীয় অঞ্চলের সাত ইউনিয়নের মানুষ নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। রোববার দুপুরে বন্যাদুর্গত এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদুল আলম। এসময় তিনি উপজেলার বরইতলী, হারবাং, কোণাখালী, বদরখালী ও পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নে দুর্গত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ইউএনও বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।