১৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৮ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ‘বনকর্মীদের শোকের মাঝেও স্বস্তি, হত্যার ‘পরিকল্পনাকারি কামালসহ গ্রেপ্তার আরও ২   ●  উখিয়া নাগরিক পরিষদ এর ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   ●  আদালতে ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার দায়স্বীকার সেই ডাম্পার চালক বাপ্পির   ●  ‘অভিযানে ক্ষুব্ধ, ফরেস্টার সাজ্জাদকে পূর্বপরিকল্পনায় হত্যা করা হয়’   ●  ফাঁসিয়াখালীতে পৃথক অভিযানে জবর দখল উচ্ছেদ, বালিবাহী ডাম্পার জব্দ   ●  অসহায়দের পাশে ‘রাবেয়া আলী ফাউন্ডেশন’   ●  ফরেস্টার সাজ্জাদ হত্যার মূল ঘাতক সেই বাপ্পী পুলিশের জালে   ●  ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার,ক্র্যাকের সভাপতি জসিম, সম্পাদক নিহাদ   ●  নতুন জামাতে রঙিন ১০০ শিশুর মুখ   ●  মহেশখালী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার পাশা চৌধুরীর মৃত্যুতে জেলা আ’লীগের শোক

চকরিয়ার সেই পিকআপটি কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতিতে নিয়ন্ত্রণহীন ছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সেদিন ভোরে সড়কে অতিরিক্ত কুয়াশা ছিল। গাড়ির গতিও ছিল ৬০-৬৫। গতি আর কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণহীন ছিল পিকআপটি। সামনে মানুষ দেখেই থামাতে পারেননি তিনি। নিজের অনিচ্ছাকৃত কারণে ওঠে পুরো পরিবারের ওপরে। মৃত্যু হয় পাঁচ সহোদরের। আহত হন আরও একজন। গ্রেপ্তারের পর র‍্যাবের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন পিকআপচালক সহিদুল ইসলাম সাইফুল।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।

গত মঙ্গলবার ভোরবেলা কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে একটি পিকআপের চাপায় একই পরিবারের চার ভাই অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫) চম্পক সুশীল (৩০) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অপর সহোদর ভাই স্বরণ সুশীলের (২৪)। এ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন তাঁদের সহোদর ভাই রক্তিম সুশীল এবং বোন হীরা সুশীল। বর্তমানে রক্তিম সুশীল চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার সাইফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, সেদিন ভোরে আনুমানিক ৫টার দিকে তারেক ও রবিউলসহ দুজন চকরিয়া থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে সবজিবোঝাই পিকআপ নিয়ে রওনা করে। রাস্তায় অধিক কুয়াশা থাকা সত্ত্বেও চালক সাইফুল দ্রুত কক্সবাজার পৌঁছে সবজি ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বেপরোয়া গতিতে পিকআপটি চালাচ্ছিল। অধিক কুয়াশা ও অতিরিক্ত গতির কারণে মালুমঘাট বাজারের নার্সারি গেটের সামনে রাস্তা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষারতদের দূর থেকে লক্ষ্য করতে পারেনি। গাড়ির অধিক গতি থাকার কারণে কাছাকাছি এসে লক্ষ্য করলেও গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে পিকআপ মালিকের ছেলে তারেক ও ভাগনে রবিউল ছিল। এ সময় চালক পিকআপ থেকে নেমে নিহতদের দেখতে আসলেও মালিকের ছেলে তারেকের নির্দেশে সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সড়কে ৫ ভাই নিহতের ঘটনায় পিকআপ চালক আটকসড়কে ৫ ভাই নিহতের ঘটনায় পিকআপ চালক আটক
খন্দকার আল মঈন বলেন, দুর্ঘটনার পরে সাইফুল মালুমঘাট বাজারের একটি স্থানে গাড়িটি থামিয়ে মালিককে ফোন করে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানায়। গাড়িটির মালিক তাঁকে পিকআপটি কোনো এক স্টপেজে রেখে লোকাল বাসে করে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলে। মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সাইফুল ডুলাহাজরায় এসে পিকআপটি রাখে এবং লোকাল বাসে করে চকরিয়া গিয়ে মালিকের সঙ্গে দেখা করে। মালিক মাহমুদুল তাঁকে অন্তত ১ বছর আত্মগোপনে থাকার পরামর্শ দিলে, সে প্রথমে বান্দরবানের লামার রাবার বাগানে আত্মগোপনে যায়। এরপর জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে আত্মগোপনের উদ্দেশে ঢাকায় আসে।

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিকআপের চালক সাইফুল নিহতদের গাড়ি চাপা দেওয়ার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সাইফুল জানিয়েছে, তাঁর কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ সে পিকআপ, চাঁন্দের গাড়ি ও ৩ টন ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ আগে সে উক্ত পিকআপটি মালিকের কাছ থেকে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরি ভিত্তিতে চালানো শুরু করে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।