১৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত

ঘরে বসেই কোটি টাকা আয় করবে কক্সবাজারের ছেলেরা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক বলেছেন, কক্সবাজারের ছেলেদের আর ইউরোপ আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে হবে না। কেননা তারা ঘরে বসেই কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে দিনব্যাপী আয়োজিত ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের অনেক সন্তান মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে রয়েছে। তারা কঠোর পরিশ্রম করে অল্প রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে দেশে। কিন্তু আগামীতে এখানকার আর কোন ছেলেকে শ্রমিক হিসেবে দেশের বাইরে গিয়ে টাকা রোজগার করতে হবে না। তারা তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই কোটি টাকা আয় করবে। এখানকার ছেলেদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য নির্মিত হচ্ছে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক। যে পার্কে আইটি খাতের বিশ্বের শীর্ষ ব্যক্তিরা আসবেন।

তিনি বলেন, ই-কমার্সের জন্য কক্সবাজার একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শহর। এখানকার বিখ্যাত শুটকি এখন বিক্রি করা হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আগামীতে স্থানীয় ছাড়াও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই পণ্যের মার্কেট সৃষ্টি হবে। এছাড়াও এটি একটি অন্যতম পর্যটন নগরী। ট্যুরিজমের সকল ব্যবসা ইন্টারনেটে করার অবাধ সুযোগ রয়েছে এখানে।

পলক বলেন, আগামী পাঁচ বছরে কক্সবাজার হবে একটি আধুনিক ডিজিটাল পর্যটন নগরী। এখানে স্থাপন করা হবে ডিজিটাল সার্ফিং সিটি, সমুদ্র সৈকতে আধুনিক লাইট সাউন্ড ওয়াটার শো-রুম সহ অনেক কিছু। আমাদের টার্গেট আগামী ৬ মাসের মধ্যে কক্সবাজারে ২০০ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা। পরবর্তীতে তাদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেকে এগিয়ে আসবে।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালি ভৌমিক, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক তপন কুমার নাথ।

অনুষ্ঠানে তিনজন ফ্রিল্যান্সারকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন শাকিল, আরিফুল ইসলাম ও মো. আব্দুল্লাহ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রজেক্টের আওতায় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কক্সবাজারে বিয়াম ফাউন্ডেশনে এই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় আইটি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০টি স্টল অংশ নেয়।
এছাড়া বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মেলা উপলক্ষে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং এর ওপর কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইসিটিতে দক্ষ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মেলায় চালু করা হয় রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। এখানে যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তারা আগামী ৫০ দিনব্যাপী বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার প্রশিক্ষণ নেবেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।