৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

গ্রেফতারের আগে সাহেদ মহেশখালিতেও পালিয়ে ছিলেন

প্রতারক সাহেদ ধরা পড়ার আগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে পালিয়ে ছিলেন বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। এর পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকেন।

রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

পরে সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় র‍্যাব দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সাহেদ পালিয়ে কোথায় কোথায় ছিলেন তা জানায়।

সাহেদ জানায়, গত ৬ জুলাই যখন রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে তখন কক্সবাজারের মহেশখালিতে ছিলেন তিনি। স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় সেখানে একটি সাইক্লোন সেন্টারে ছিলেন। পরে সেখান থেকে চলে আসেন কুমিল্লার মীরা বাজারে। কুমিল্লা থাকাখালীন র‍্যাবের গ্রেফতার অভিযানের খুব কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু র‍্যাব গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। এরপর ১২ জুলাই ঢাকার গুলশানে আসেন সাহেদ। নিরাপদ মনে না করায় চলে যান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এরমধ্যেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে আজ ভোরে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন তিনি।

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার দেখা গেছে। এসময় তিনি বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি দেখান বলে জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। সাহেদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সাহেদকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না। তিনি সবকিছু আইনিভাবে মোকাবেলা করে খুব দ্রুতই জনসম্মুখে আসবেন বলে দম্ভোক্তি করে। এসময় যারা তাকে মদদ দিয়েছে এবং ধরিয়ে দিয়েছে তাদের দেখে নেবেন বলেও জানান সাহেদ।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ যেসব সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেবার হুমকি দেন বলে জানায় র‍্যাব।

যমুনা

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।