২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

গ্যাড়াকলে পড়েছে এনজিওরা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিওর বিরুদ্ধে স্থানিয়দের আন্দোলনের কারনে গ্যাড়াকলে পড়েছে এনজিওরা। আন্দোলনকারীদের রোশানলে পড়ার ভয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেননা অনেক এনজিওর বহিরাগত কর্তা ব্যাক্তিরা। আর বিদেশি দাতা সংস্থার শর্ত নামেনে স্থানিয়দের ছাটাই করে দাতাদের চাপেও পড়েছে এনজিও ও আইএনজিওরা। আন্দোলন কারীদের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি এনজিও কর্মীদের চলাচলও সিমিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থার দেশি বিদেশি কর্মকর্তাদেরও সতর্ক ভাবে চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিওতে চাকরির দাবিতে স্থানিয়রা মাঠেনামার পরথেকেই অনেকটা কোনঠাশা অধিকাংশ এনজিও। আন্দোলনকারীরা কক্সবাজার ও উখিয়ায় সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন করে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে। দাবি নেয়ায্য হওয়ায় আন্দোলনের গ্রহনযোগ্যতা বড়েছে অনেক বেশি। স্থানিয়দের যোক্তিক সমুহ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

দিনে দিনে বৃহৎ আকার ধারন করছে এনজিও বিরোধী এই যোক্তিক আন্দোলন। কক্সবাজারে বিভিন্ন সংগঠন যার যার অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হচ্ছে। যৌক্তি এই আন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছে কক্সবাজারে সর্বস্তরের জনগন। ফলে দলমত নির্বিশেষে এই আন্দোলন গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। স্থানিয়দের আন্দোলনের ফলে চাপের মুখে পড়েছে এনজিও গুলো।

এনজিওতে স্থানিয়দের অধিকার নিয়ে আন্দোলনের নেত্বৃত্ব দেয়া ইমরুল কায়েস বলেছেন, এনজিওরা যে স্থানিয়দের সাথে প্রতারনা করেছে সেটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। স্থানিয়দের আন্দোলন বিশ্বব্যপি দাতা সংস্থা অবগত হয়েছে। এখন স্থানিয়দের দাবি আদায়ে এনজিওদের বাধ্য করা হবে।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়ার সমন্বয়ক শরিফ আজাদ বলেছেন, শান্তিপূর্ন ভাবে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি গুলো নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছি। আমরা কোন সংঘাতের আন্দোলনে যেতে চাইনে, আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে চাই। তবে আমাদের শান্তিপূর্ন আন্দোলনের দাবি সমুহ মেনে নেয়া নাহলে অধিকার আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

কক্সবাজারের শ্রমিক নেতা এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেছেন, এনজিওরা চাকরি ও বেতনের ক্ষেত্রে স্থানিয়দের সাথে প্রতারনা করছর। তাই এনজিওদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। স্থানিয়দের যেই দাবি গুলো দিয়েছি, সব দাবিই যৌক্তিক। তিনি আশা করছি এনজিওরা ধ্রুত স্থানিয়দের যৌক্তিক দাবি মেনে নিবে।

কক্সবাজারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওতে চাকরির জন্য স্থানিয়দের দাবির যোক্তিকতা রয়েছে। ২৭ জানুয়ারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এনজিও সমন্বয় সভার ডাকা হয়েছে। ঐ সভায় স্থানিয়দের দাবি বিষয়ে সরকারের অবস্থান ও নির্দেশনা এনজিওদের রিজিউলেশন করে দিয়ে দেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।