২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

গোমাতলীতে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা


দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ গোমাতলীবাসীর। গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাত থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই আরেক মৌসুমি নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বর্ষণ তলিয়ে গেছে -গ্রামের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গাছপালা উপড়ে পড়েছে, উড়ে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ির চাল। সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে জোয়ারের পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে উপকূলের গোমাতলীর গ্রামের পর গ্রাম। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ যোগাযোগ। ফলে রোববার সন্ধ্যা থেকে গোমাতলীর বিশাল এলাকা অন্ধকারে রয়েছে।

 
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১২১ মিলিমিটার। মৌসুমি নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়োহাওয়া বইছে। পূর্ণিমা তিথি ও বাতাসের কারণে সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বাড়ছে।
সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, পূর্ণিমা তিথির জোয়ারে পানি বেড়ে রোববার দিবাগত রাতে গোমাতলীর বেড়িবাঁধে ৪৪ একর ঘোনার ৮ নম্বর স্লুইস গেট এলাকায় বিশাল অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে।

 
গত বছর রোয়ানুর কবলে ৬ নম্বর স্লুইস গেট এলাকার ভাঙনটি এখনও মেরামত হয়নি। তার ওপর রোববার রাতের ভাঙন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। দুটি ভাঙন দিয়েই জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো বৃহত্তর গোমাতলীর ৮ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। ফলে রমজানে ইফতার ও সেহরি নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দি লোকজন।

 
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। নদী ও সবখানে পানি বেড়ে যাওয়ায় নিচু এলাকার বাসাবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। ইউএনওদের দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টি থেমে গেলে নদী ও সাগরের কিনারের বেড়িবাঁধ মেরামতে হাত দেয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।