১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২ পৌষ, ১৪৩২ | ২৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

গুজরাটে গরু জবাইয়ের শাস্তি যাবজ্জীবন

ভারতের গুজরাটে গরু জবাইয়ের জন্য যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা শুক্রবার নতুন এ আইনটি সংশোধিত আকারে প্রকাশ করে। খবর এনডিটিভির।

২০১১ সালে ‘গুজরাট প্রাণী রক্ষা আইন ১৯৫৪’তে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল। সেই সংশোধনী অনুযায়ী, গোহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল সাত বছরের জেল। সেই শাস্তিই এবার বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হলো। এ ছাড়াও গরু পাচারের মতো ঘটনায় জড়িত থাকলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এত দিন সর্বোচ্চ আর্থিক জরিমানা ছিল ৫০ হাজার টাকা। এবার তা দ্বিগুণ করে এক লাখ টাকা করা হচ্ছে। গরু পাচার করার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে নেয়া হবে চিরকালের জন্য।

গুজরাট বিধানসভার ভোট এ বছরের শেষে। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম ভোট হতে যাচ্ছে তার রাজ্যে। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয় হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পালে জোরালো হাওয়া লাগিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের মতো কট্টরপন্থী বলে পরিচিত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি নিজের হিন্দুত্ববাদী বার্তাকে আরও জোরালো করে তুলেছে। এ অবস্থায় গুজরাটের ভোটে হিন্দুত্বের তাস যে বড় হাতিয়ার হতে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের, তা এ আইন সংশোধনীর মধ্য দিয়ে পরিষ্কার।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি গবাদি পশু রক্ষার জন্য আরও কঠোর আইনের কথা বলে আসছিলেন। চলতি মাসেই এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘গরু, গঙ্গা এবং গীতা- এ তিন রক্ষা করার জন্য বিজেপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

যোগীর ‘প্রতিশ্রুতির’ পর মাংস ধর্মঘট প্রত্যাহার : ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রধানত মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত লাইসেন্সবিহীন কসাইখানা বন্ধ করা হবে না বা হামলা চালানো হবে না, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এমন প্রতিশ্রুতির পর দেশজুড়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন মাংস বিক্রেতারা। রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

মুসলিম অল ইন্ডিয়া জামিয়াতুল কোরেশের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আলী উমর কুরেশি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা ধর্মঘট তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, রাজ্য সরকার কসাইখানার লাইসেন্স নবায়ন করবে। রাজ্য সরকার আমাদের যে কোনো ধরনের বিধিবহির্ভূত বা অন্যায্য উৎখাত থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।’ ১৮ মার্চ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা আদিত্যনাথ যত দ্রুত সম্ভব লাইসেন্সবিহীন কসাইখানা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।