১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

গর্জনীয়ায় মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ

obijog
রামু উপজেলার বানিজ্যিক এলাকা হিসাবে পরিচিত গর্জনীয়া ইউনিয়নের বড়বিলের এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বড়বিল এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক হিসাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে মাদ্রাসার এতিম ছাত্র ও উন্নয়নের কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করে। দীর্ঘ ২ বৎসর যাবৎ মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও উক্ত পরিচালক নিজেকে মাদ্রাসার পরিচালক পরিচয় দিয়ে অন্যায় ভাবে বৈদেশিক নানা সুবিধা আদায় করে আসছে এবং টাকা আত্বসাতের বিষয় প্রকাশ হয়ে পড়লে মাদ্রাসাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ও এলাকার সচেতন লোকজন ইতিমধ্যে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন এবং সংসদ সদস্য রামু-কক্সবাজার আসন-৩, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ৫০ বিজিবি অধিনায়ক রামু, র‌্যাব-৭ অধিনায়ক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, এনএসআই অধিনায়ক, দূর্নীতি দমন কমিশন সহ রামু থানায় অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, উক্ত পরিচালকের সাথে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সেলিভেরিটি অর্গানাইজেশন (আর.এস.ও) এর সম্পর্ক রয়েছে এবং দীর্ঘদিন থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং আর.এস.ও এর সাথে কক্সবাজারের বিলাশ বহুল বাড়ীতে বৈঠকের কথাও উঠে আসে অভিযোগে। অভিযোগের কথা জানাজানি হলে অভিযোক্ত পরিচালক দুবাই পালিয়ে যান বলে জানালেন অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে অভিযোক্ত পরিচালক মৌলানা মাহবুবুর রহমান বিদেশ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিচালকের এমন রাষ্ট্রদ্রোহী জগন্য কাজ ও মাদ্রাসার টাকা আত্বসাতে সংশ্লিষ্ট থাকায় এলাকার সচেতন লোক সাধারণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তার পাসপোর্ট জব্দ সহ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এলাকার কোমলমতি শিশুরা দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে একথা উপলব্ধি করে তৎসময়ে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন অভিযুক্ত মৌলানা মাহবুবুর রহমানের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ মাওলানা নজির আহমদ। তার মৃত্যুর পর থেকে পরিচালকের পদ নিয়ে তিন ভাইদের কোন্দলে পড়ে মাদ্রাসাটির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় এবং তিনজনই মাদ্রাসাটির পরিচালক দাবী করে আসে। ভাইদের কোন্দলের কারণে এক সময়ের দ্বীনি শিক্ষার মাধ্যম মাদরাসাটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। যার ফলে দ্বীনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।