২৪ আগস্ট, ২০২৫ | ৯ ভাদ্র, ১৪৩২ | ২৯ সফর, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

গর্জনিয়ার কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের কিংবদন্তী রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তিনি পাঁচ বার গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

গর্জনিয়ার উদীয়মান রাজনীতিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন- কক্সবাজারের রামুর দুর্গম জনপদ বৃহত্তর গর্জনিয়ার শোষিত বঞ্চিত নির্যাতিত মানুষের জননেতা ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী। জনগণের ভাষা, স্বার্থ, মনের কথা তিনি বুঝতে পারতেন। বিপন্ন মানুষ রক্ষা এবং সেবার মধ্যদিয়ে তিনি সাধারণ ছাত্রনেতা হতে গণমানুষের নেতায় পরিণত হন। মানুষের দুঃখ কষ্টে পাশে থাকাই ছিল তাঁর প্রশান্তি।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়- বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী ১৯৪৯ সালের ৩০মে গর্জনিয়া ইউনিয়নের সম্রান্ত মুসলিম চৌধুরী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রয়াত সিরাজুদৌল্লাহ চৌধুরী ও গোল চেহের বেগম তাঁর বাবা-মা। তিনি রামু খিজারি আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও পরে স্নাতক পাশ করেন। প্রয়াত চাচা রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে রাজা মিয়া চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেকড়ি তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর। ১৯৬৪ সনে কামাল হোসেন চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম চৌধুরীর মাধ্যমে ছাত্রলীগে যোগ দেন তিনি।

১৯৬৯/৭০ সনে কক্সবাজার মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম সদস্য, ১৯৭০/৭১ সনে ছাত্রলীগ মনোনীত কক্সবাজার কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতির (ভিপি) দায়িত্ব পালন করেন তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ খঁচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা প্রথম তিনিই উত্তোলন করেছিলেন। এর পর মুক্তিযুদ্ধের ছাত্র সংগঠক হিসাবে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে- দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এ প্রবীন রাজনীতিক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।