১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

গরু বেচার টাকা আনতে গিয়ে ৪দিনধরে নিখোঁজ দুই রোহিঙ্গা হিন্দু : আহত হয়ে ফিরল ৮জন

বিশেষ প্রতিবেকঃ মিয়ানমারের রাখাইনে পাশবিকতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা দুই হিন্দু ৪দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার থেকে ১০জন আশ্রিত রোহিঙ্গা হিন্দু নিখোঁজ হন। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত চার দফায় ৮জন ফিরে আসলেও বৃহস্পতিবারেও অপর দুজন ফিরে আসেনি। উখিয়ার কুতুপালংয়ে আশ্রিত হিন্দুদের সেবক সুজন শর্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর দুই হিন্দু আশ্রিত নিখোঁজ উল্লেখ করে উখিয়া থানায় লিখিত জানানো হয়েছে। মিয়ানমারে ফেলে আসা গরু এনে বিক্রির টাকা আনতে গিয়ে তারা নিখোঁজ হন বলে দাবি করা হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদ্বয় হলেন, মিয়ানমারের ছিকনছড়ি এলাকার নিরঞ্জন শীল (৬০), রবীন্দ্র শীল (৫৫)।
ফিরে আসা আহত হিন্দুরা হলেন, ছিকনছড়ির সুরধনের ছেলে মধু রাম পাল (৩৫), সুরধন পাল, তেজন্দ্র পাল (২৮), অনিল রুন্দ্র, কাজল শীল। বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যে আহত অনিল রুন্দ্র, কাজল শীলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তারা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত অবস্থায় ফিরে আসাদের বরাত দিয়ে তাদের দেখভালের দায়িত্বরত বাবুল শর্মা বলেন, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া হিন্দুরা রাখাইনে প্রায় ৩৫টি গরু-ছাগল ফেলে আসে। সেসব নিয়ে এসে বিক্রি করে রাখাইনে তাদের প্রতিবেশী অলি উল্লাহ, ইমাম হোছন, নুরুল হক। তারা গরু-ছাগল বিক্রির সাড়ে ৫ লাখ টাকা নেয়ার কথা বলে সীমান্তের ওপারে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারা আরো জানায়, একটি নদী পার হওয়ার পর তাদের চোখ বেধে নির্যাতন চালানো হয়।
হিন্দু আশ্রিতদের মুখপাত্র ও উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালংয়ের ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি বলেন, আশ্রিত ১০ হিন্দু আমাদের অগোচরে যায়। এর মধ্যে ফিরে আসা ৮জন তাকে বলেন মিয়ানমারের বাসিন্দা এবং পরিচিত হওয়ার সুবাদে তাদের খোঁজ নিয়ে আসে সেখানকার মুসলিম প্রতিবেশী। পরে ফোন করে গরু বিক্রির টাকা নেয়ার কথা বলে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন করেছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
এ ঘটনায় এখনো দু’জন নিখোঁজ এবং এ বিষয়ে উখিয়া থানায় লিখিত জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন তিনি।
তবে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের বলেন, নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে সম্ভাব্য স্থানে পুলিশী অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে আহতদের কয়েকজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানতে পেরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এদের ব্যাপারে জানতে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুঁ চ নু এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহীন আবদুর রহমানের মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।