১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ক্যান্সার আক্রান্ত তাজুল বাঁচতে চায়

ছবি- তাজুল ইসলাম
মৃত্যু নিশ্চিত জানার পরও কে না চায় রঙের পৃথিবীতে আরো কিছু দিন বেঁচে থাকতে। সবাই চায় এই পৃথিবীটাকে ঘুরে ঘুরে দেখতে। তেমনি একজন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের মধ্যম বাইশারী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাশেম প্রকাশ মিড়ার পুত্র তাজুল ইসলাম (৪৪) জানালেন দুনিয়ায় বেঁচে থাকার আকুতি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে মৃত্যু শয্যায় শায়িত।
১৬ মে ২০১৫ ইং সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট। এই প্রতিবেদক তাজুল ইসলামের চিকিৎসার খবর নিতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ীর বাইরে গাছের ছায়ায় একা কাঠের চৌকিতে শায়িত। পাশে কেউ নেই। দেখেই দু’চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলতে লাগলেন, এতদিন পর একজন প্রতিবেশী মানুষ আমাকে দেখতে আসল। আর কেউ আসেনি। প্রতিবেশী, বিত্তবান না কোন জনপ্রতিনিধি।
মনে পড়ে হাদিসে কুদসীর কথা- কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ যখন জিজ্ঞাসা করবেন তোমার প্রতিবেশী যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্য শয্যায় শায়িত ছিল, তখন তুমি কোথায় ছিলে? তখন কি জবাব দেব। কিছুটা দ্বায়মুক্তির জন্য গনমাধ্যমকর্মী হয়ে বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতার আহবান জানানোর চেষ্টা করলাম।
ছোট বোন নাছিমা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, আল-ফুয়াদ খতিব হাসপাতাল এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত তাজুল ইসলামের পক্ষে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে ঔষুধ ক্রয় করার টাকাও তার কাছে নাই। যেখানে স্ত্রী-সন্তানদের দু’বেলা খাবার সংগ্রহ করতে অক্ষম সেখানে আবার মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা?
যে ব্যক্তি জীবনে কারো মুখের উপর কথা বলেনি সে যখন রোগাক্রান্ত হয়ে বিছানায় শায়িত তখন তাকে দেখতে এলোনা কোন আপনজন। যার টাকায় অনেক মানুষই জীবন-জীবিকা চালিয়েছিল তারা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। স্মরণ হয় “সকাল বেলার ধনীরে তুই, ফকির সন্ধ্যা বেলা”।
পারিবারিক সুত্র জানায়, কর্ম চঞ্চল তাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন রাবার বাগানে টেপার হিসাবে কাজ করেছিলেন। শরীর কাজ করতে যখন সায় দিচ্ছিল না, তখন তিনি টেপার পদ ছেড়ে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়েন। সেখানেও বেশীদিন টিকতে পারেন নি। ক্যান্সারে খুড়ে খুড়ে খেয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যু শয্যায় শায়িত হতে হলো।
বর্তমানে তাজুল ইসলাম বাঁচার আকুতি জানিয়ে এলাকার বিত্তবানদের একটু সহানুভূতি কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।