১৫ জুন, ২০২৫ | ১ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৮ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কুতুবদিয়ায় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতাসহ আটক ২

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শেখ শহিদুল ইসলাম লালা (৪৮) কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদার পাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের পুত্র। অপর আটক নওশাদ (২২) একই উপজেলার কৈয়ারবিল গ্রামের আবদুল মাবুদের পুত্র। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারী) রাতে এই দুইজনকে আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। অপরদিকে বলাৎকারের শিকার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পাড়া চাত্রকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভিকটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে ২৪ জানুয়ারী সকালে কুতুবদিয়ায় থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং ১৩। মামলার পর আজ শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদ বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রকে নানান প্রলোভনে ফেলে উপজেলা গেইটস্থ তার দোকানের পিছনের কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে দফায় দফায় বলৎকার করে। পরে তারা ছাত্রকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্র ব্যথার যন্ত্রনায় কান্নাকাটি শুরু করলে সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতা। এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় বাসায় গিয়ে ওই ছাত্র তার পরিবারের কাছে আওয়ামী লীগ নেতার ‘নোংরা কর্মকান্ড’ খুলে বলার পর তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা একজোট হয়ে উপজেলা গেইটে এসে ওই নেতাকে দোকানে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহিদুল লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

শুক্রবা সকালে ভিটটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে আটক দুই জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে একটি এজাহার দিলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। আর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ্দ করেন।

কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অপর একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভিকটিম ছাত্রের মা। ভিকটিম ছাত্রকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।