২৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

কপাল খুলেছে গনি’র!

আব্দুল গনি (২০), পিতা মোসলেহ উদ্দিন, গ্রাম- উখিয়া সদর। একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম গনির। যাকে সবাই জগতের গনি নামেই চেনে। গনির একটি গুণ সহজেই সবার মন জয় করার ক্ষমতা রাখে। পিতা-মাতা সহ ভুমিহীন হওয়ার কারনে প্রায় সবার প্রিয়মূখ গনি। ৫ বছর পুর্বে মা এবং ৪মাস আগে পিতা-মাতাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় ভবঘুরে গণি। মাথা গোছার জায়গায়টিও ছিলনা তাঁর। এতক্ষণ যার কথা বললাম সেই গণির শুভ বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে গেল শুক্রবার। একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে গনি পর্দাপন করলেন দাম্পত্য জীবনে। অদম্য সাহজ নিয়ে পা’দিলেন যুগল জীবনে। বর্তমানে তিনি উখিয়া ডাকঘরের রানার হিসেবে কর্মরত আছেন। বেতন পান আড়াই হাজার। সেই বেতনে পাড়ি দিচ্ছেন সংসার জীবনে। তুললেন ঘরে নববধু। নববধূ ফাতেমা বেগমের বাপের বাড়ী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলি ঘোনারপাড়া গ্রামে। স্বামী আব্দুল গনির মতো ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে ফাতেমা। দরিদ্র পিতা লোকমান হাকিম নম্র-ভদ্র হিসেবে গনির হাতে তাঁর মেয়েকে তুলে দিতে পেরে মহা খুশি। উপহার স্বরূপ ফাতেমার পিতা গনিকে ২০হাজার টাকা ও সিঙ্গেল ফার্নিচার দেওয়া হলেও টাকা গুলো স্বর্ণ বাবৎ ফাতেমার পিতাকে দিয়ে দেয় গনি। বিবাহের দিন ৩কেজি ওজনের ৩মুরগি, ৩ কেজি গরুর মাংশ দিয়ে শেষ করে বিবাহের আয়োজন। খবর পেয়ে শুক্রবার সহধর্মিনী কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী তাওহীদা আকতার কে সাথে নিয়ে গনির বিয়েতে উপস্থিত হয়ে সবাইকে থাক লাগিয়ে দিলেন ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন। এসময় আরো সাথে ছিলেন উখিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান। গরীবের ঘরে হাতির পারা!। বাক্যটি সম্পর্কে আগে ধারণা না থাকলেও শুক্রবার তা বাস্তবে দেখলেন উখিয়াবাসি। সাথে নিয়ে গেলেন অনেক উপহার সামগ্রীসহ আশান্বিত বাণী। স্ত্রী নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করার জন্য ৫শতক জমি বরাদ্দ দিতে সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেন। উপহার স্বরূপ সহকারি কমিশনার দেবেন জমি আর ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন সেই জমিতে করে দিবেন একটি বাড়ী। জমি ও বাড়ী পাওয়ার খবরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আব্দুল গনি। ঘোষণাটি শুনে আবেগাপ্লোত হয়ে পড়েন বর গনি। তাৎক্ষণিক পতিক্রিয়ায় গনি বলেন, আমার পিতা জন্ম দিলেও আমাকে এক খন্ড জায়গা দিয়ে যেতে পারেনি, কিন্তু ইউএনও এবং এসিল্যান্ড যে মহৎ বাণী আমাকে আজকে শুনালেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এসময় ইউএনও মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি আজকে এই বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিকেজে ধন্য মনে করছি। এতে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়। খাওয়া-দাওয়া বড় কথা নয়, একজন অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানোই উত্তম কাজ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন, হ্নীলা পোষ্ট মাষ্টার এস,এম জসিম উদ্দিন, মানবজমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আলম শাহীন, একটি বাড়ী একটি খামারের উপজেলা সমন্বয়কারী আব্দুল করিম, উখিয়া ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল হক উপজেলা কয়েকজন কর্মকর্তা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।