২ মে, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৩ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন

কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, সরে যেতে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিনিধি:
অতিপ্রবল রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রিত রোহিঙ্গা বসতি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাসে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে পাহাড় ধস ও প্রাণহানির ঘটনা। এ আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশ বা চুঁড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ আবাস গড়া লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরে যেতে নির্দেশ দিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছায় না সরলে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয়া হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলাজুড়ে পাহাড়ী এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাইকিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের  রেঞ্জের কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা।
তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। বিশেষ করে শহরে পাহাড় বেষ্টিত পাহাড়তলী, লাইট হাউস পাড়া, ঘোনা পাড়া, বাদশা ঘোনা, কবরস্থান পাড়া, সাহিত্যিকা পল্লী, সার্কিট হাউস পাড় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে সরতে বলা হয়। নিজেরা সরে না আসলে আইন প্রয়োগে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, শুধু কক্সবাজার শহরে নয়, কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের যেই সব এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে সব স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।
জানা গেছে, শহরের লাইটহাউজ, ফাতেরঘোনা, কলাতলী, আদর্শগ্রাম, পাহাড়তলী, বৈদ্যঘোনা, খাজামঞ্জিল, ঘোনারপাড়া, মোহাজের পাড়া, কবরস্থান পাড়া, গরুর হালদা সড়ক, সিটি কলেজ এলাকা, সাহিত্যিকা পল্লী, বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকাসহ ৬টি ওয়ার্ডে পাহাড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে। ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব এলাকার অতীত ইতিহাস এমনটিই বলছে।
এছাড়া মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়ায় সেখানেও মাইকিং করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে পৌরসভার  ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী হাজারো পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মাইকিং করে তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এরপরেও যদি সরে না আসে বৃষ্টিপাতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হবে। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত শেল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন পরিদর্শন করে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। মানুষের প্রাণহানি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।