১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

কক্সবাজারে পতিতা ,কর্মচারি ও খদ্দেরসহ আটক ৫২

এম.এ আজিজ রাসেল :
পর্যটন নগরী কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, এ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা চলে আসছে। এসব কটেজ রিসোর্টের কর্মরত ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে এই রিসোর্টে অবৈধভাবে দেহ ব্যবসা অবৈধ টাকার পাহাড় করেছে। ফলে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ। তাই হোটেল মোটেল জোনে মাদক, জুয়া, পতিতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। যার অংশ হিসেবে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারী) বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে কটেজ জোনে সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ শেখ মুনীর উল গিয়াস ও ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কটেজের ম্যানেজার—কর্মচারি, পতিতা ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০ পিছ ইয়াবা।

অভিযান সুত্রে জানা যায়, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকাল থেকে ৪টি কটেজে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে ১ জন কর্মচারি, ৭ জন খদ্দের ও ২ জন যৌনকর্মী আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে ১ জন কর্মচারি, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এছাড়া আজিজ গেষ্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও ২ যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

অভিযান প্রসঙ্গে সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, হোটেল মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলা কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোন অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।