৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ

অপারেশন ডেভিল হান্ট

কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিলের পর ঘুম ভাঙলো জেলা পুলিশের। তার আলোকে জেলাজুড়ে জোরদার হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। গতকাল বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫৫ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পুলিশের তথ্য সূত্র মতে, আটকৃতরা হলেন- রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মন্ডল, রাজারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, চাকমারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফতেখারকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেম্বার আবু তাহের টুনু, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. মনজুর, সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মেম্বার সিরাজুল বশর, দানু মিয়া চৌধুরী, জালিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল মনজুর, আওয়ামী লীগ নেতা রিদুয়ান ইসলাম, চকরিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ, পেকুয়ায় সাবেক এমপি জাফর আলমের ভাগিনা হাসান আল বশির, আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মাদু মেম্বার, মগনামা নুন্যার পাড়ার মোস্তাক মিয়া, মহেশখালীর যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, এমপি আশেকের ঘনিষ্ট সহচর সাদ্দাম, আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ মেম্বার, সিরাজ মেম্বার, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন এবং লেমশীখালী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন।

এছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলায় পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরানসহ ৩ জন কে গ্রেপ্তার রয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল আটটার দিকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে। আদালত আনোয়ারুল কবির তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, জাফর আলম চকরিয়া থানার পাঁচটি ও পেকুয়া থানার দুটি মামলার আসামি। এর মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি মামলায় ১৪ দিন ও পেকুয়া থানার ২টি মামলায় ৪ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। জাফর আলমকে বুধবার সকালে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। ৭টি মামলায় শুনানি শেষে তাঁকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে চকরিয়া থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ঝঁটিকা মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় তারা ঝটিকা মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, খুটাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের কর্মী এনামুল হক। এই মিছিলের পর জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলার ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠে। যার প্রেক্ষিতে জোরদার হয় অপারেশন ডেলিভ হান্ট।

এদিকে ৬ মে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত এলাকায় যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদারের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল নিয়ে রীতিমতো পুলিশ বেকায়দায় পড়েন। ওই ঝটিকা মিছিলের পর পুলিশ একদিনে ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ###

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।