কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ক্রাইমজোন উত্তরণের কাটা পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ দাগি অপরাধীসহ ১৯ জনকে আটক করেছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দাগি ১৯ জনকে আটক করে পুলিশ। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ ও শহর পুলিশ ফাঁড়ি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অপরাধ রোধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে শহরের আলোচিত নুরুল হাসান (১৮), হ্নদয় সুলতান (২০) ও আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালু ভাই (২৭) রয়েছে বলে দাবি করে কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ আনোয়ার হোসেন। এর মধ্যে হ্নদয় সুলতানের বিরুদ্ধে তিনটি ও নুরুল হাসানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে।
পরিদর্শক আনোয়ার বলেন, ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। গত এক মাসে ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ছিনতাইকারীরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। কলাতলীর একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে আমরা অস্ত্রসহ আটক করে জেল হাজতে পাঠাই। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেখা যায় সে জামিনে বেরিয়ে আসে।
তিনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি কক্সবাজার শহরের পৃথক কয়েকটি স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একজন আইনজীবী, দুইজন এনজিও কর্মীর কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটে নেয়। এমনকি ছিনতাইকারী চক্র এডভোকেট রেজাউল করিম রেজার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার পরও তাঁকে ছুরিরকাঘাত করে। বর্তমানে তিনি তাঁর শহরের বাসভবনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পৃথক ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রচার হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।