৯ মে, ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১০ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা

কক্সবাজারে উচ্ছেদ অভিযান, দখলমুক্ত হল ৫০ শতক খাস জমি

কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টের দক্ষিন-পূর্বে অবস্হিত হোটেল সী-গাল’র গেইট অথবা বাউন্ডারী এলাকায় কেউ দাঁড়ালেই তেড়ে এসে কৈফিয়ত চাইত সিকিউরিটি গার্ডরা। এমন কি হোটেল বরাবর সমুদ্র সৈকতে কেউ হাঁটলেও এরা বিভিন্ন সময় বাধা দিত। এটা নাকি সী-গাল বীচ (?), তাই তাদের বোর্ডার ছাড়া আর কেউ ওখানে হাটতেও পারবেনা, এটাই নাকি ম্যানেজম্যান্টের নির্দেশ !! এ অবস্হাই চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু খোদ হোটেল বাউন্ডারীর ভিতরেই অবৈধ দখলে ছিল ৫০ শতক মূল্যবান খাস জমি। অবৈধ দখলে থাকা বিশালাকার এ খাস জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন অভিযান শুরু করলে ফাঁস হয় সব গোমর।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অভিযান শুরু হতেই তৎপর হয়ে উঠে হোটেল ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে অভিযান বাঁধাগ্রস্হ করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনমনীয় মনোভাবের ফলে উচ্ছেদ অব্যাহত থাকে।


সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কামরুজ্জামান সোহাগ জানান, সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত ১০০ শতক (এক একর) খাস জমি দীর্ঘদিন জবর দখলে রেখেছিল হোটেল সী-গাল, প্রসাদ প্যারাডাইস ও তরঙ্গ রেস্তোরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে হোটেল সী-গাল’র সীমানা প্রাচীরের ভিতরে থাকা ৫০ শতক জমির অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পিলার ও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়েছে। হোটেলের পূর্বদিকের গেইট, সীমানা প্রাচীর ও সংলগ্ন অন্যান্য স্হাপনা এসময় উচ্ছেদ করা হয়। সদর মডেল থানার পুলিশ ফোর্স ও কক্সবাজারস্হ ১৫ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পংকজ বড়ুয়া জানান, অবৈধ দখলে থাকা অন্যান্য খাস জমি উদ্ধারেও পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।