৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

কক্সবাজারের সাবেক এডিসি জাফর আলম গ্রেফতার

 

মহেশখালীতে বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে দূর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলমকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওএসডি থাকা এ কর্মকর্তাকে (সোমবার) বিকালে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন দুদকের সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম সরকার।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের ২০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত মামলায় এনিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হল।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল দুদক টিম কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদ সিকদার ও কক্সবাজারের সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
তবে মামলার প্রধান আসামি ও কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করে দুদক।
আলোচিত এ মামলায় তদন্ত শেষে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সার্ভেয়ার কানুনগোসহ ১৩ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ রাসেল জানান, ৩ মে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, মহেশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ২৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মাঝে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নিজেদের করায়ত্তে নেয় কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদারের নেতৃত্বে ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট।
এ থেকে কৌশলে তারা ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা তুলে নেয়। বাকি টাকার জন্য ইস্যু করা হয়েছিল আরও পাঁচটি চেক। তবে অভিযোগ উঠার পর পাঁচটি চেকের আওতায় নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের বাকি টাকা আটকে দেয়া হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।