২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৩ পৌষ, ১৪৩২ | ৭ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

এমপি বদিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

bodi-03-newsnextbd_100863
দুর্নীতি অস্বীকার করে শেষ রক্ষা হলো না ক্ষমতাসীন দলের কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় কারান্তরীণ থাকতে হচ্ছে তাকে। পরবর্তীতে আপিলের মাধ্যমে জামিন আবেদন করা যাবে উল্লেখ করে তার আইনজীবীরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেলে দ্রুতই আপিল করবেন তারা।

রায় ঘোষণার সময় এমপি বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বদির পক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ন্যয় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।’

এর আগে বেলা ১০টার কিছু পরে বদি আদালতে প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন। এসময় তাকে বিচলিত মনে হয়নি। তিনি এর আগে সাংবাদিকদের সামনে একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের যে অভিযোগ, তা সত্য নয়।

২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বদিকে কিছুদিন কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। পরে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান।

গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ঢাকার সিএমএম আদালতে আওয়ামী লীগ এমপি বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে বদির ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।

এজাহারে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করে বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানো হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।