২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৯ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

“এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না”

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ৪ দিন বাকী থাকতে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে হিললাইন নামক মিনি সার্ভিস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম দূর্ভোগ পড়তে হচ্ছে। এসময় মনে পড়ে যায় টুটুলের সেই বিখ্যাত গানের প্রথম কলির অংশ “এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না”। ঠিক তেমনি ভাবে এই সড়কটি নিয়ে অন্তরজ্বলায় পুড়ছে বাইশারীবাসী। প্রতিনিয়ত ডাকাত এবং অপহরনকারীর ভয় কাজ করে এই সড়কে। রয়েছে হিললাইন সার্ভিস চালক-হেলপারের বকুনি, সিএনজির অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। এরপরও কক্সবাজার ও রামু উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মানুষদের একমাত্র চলাচল পথ হওয়ায় নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে এসব দু:খ-দূর্দশা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সড়কের ভোমরিয়াঘোনা ও গজালিয়া এলাকায় অসম্পূর্ণ ব্রীজ এবং লাগাতার বর্ষনে বিকল্প সড়ক বাস চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় হিললাইন নামক মিনিবাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীদেরকে টম টম, সিএনজি, জিপ দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি গাড়ীর ঝাকুনিতে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় জখমও হচ্ছে যাত্রীদের। তাছাড়া সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে পারছেনা যাত্রীরা। অপরদিকে ভাড়াও দিতে হচ্ছে দিগুন।
শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইন বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ থাকার খবরটি শুনার পর বাধ্য হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনীয়া সড়ক দিয়ে বাইশারী আপন নিবাসে আসার চেষ্টা করছেন। তাতে অতিরিক্ত ভাড়া পোহাতে হচ্ছে তার।
গত মঙ্গলবার চিকিৎসা নিতে যাওয়া মাওলানা মোঃ তাহের জানায়, হিললাইন সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি দিয়ে খুব কষ্ট করে যেতে হয়েছে।


বাইশারী বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানায়, সড়কের দুই জায়গায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গাড়ী করে আনতে দ্বিগুন খরচ গচ্ছা যাচ্ছে।
ঈদগড়ের সংবাদকর্মী নুরুল আজিম রিপন জানায়, সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় ভাঙ্গা স্থানে থেমে থেমে গাড়ী গুলো চলাচল করতে হয়। যার কারণে পড়তে হচ্ছে ডাকাত এবং অপহরকারীদের কবলেও। তাছাড়া মহিলারা পুরুষদের ভীড়ে অনেক সময় গাড়ীতে উঠতে না পেরে রাস্তায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। কবে নাগাদ এ সমস্যা শেষ হবে তা সঠিক জানা যায়নি।
হিললাইন সার্ভিস ব্যবস্থাপক মোঃ ইউসুফ জানায়, সড়কটির দুই জায়গায় গাড়ী চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে যাত্রীরা শীগ্রই সড়কে পুনরায় হিল লাইন বাস গুলো চালানোর জন্য কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান এবং রাস্তা ও ব্রীজের কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।