২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

উখিয়া রুবেল হত্যার প্রধান আসামি নুরুল ইসলাম কারাগারে

ফারুক আহমদ:

সোমবার (২৭ জুলাই ) উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর মোঃ আলমগীর প্রকাশ রুবেল (২৫) হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নুরুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং অপর ২ আসামী আবদুল আলীম ও খোরশেদ আলম পলাতক রয়েছেন।

আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
এদিকে মামলার বাদী ও নিহত পরিবারের সদস্যরা প্রধান আসামি গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলামকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের আসল ক্লু উদঘাটনের দাবী জানান।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ননের দুই নম্বর ওয়ার্ডের খালখাচা গ্রামের ফজল করিমের পুত্র মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ রুবেল পেশায় একজন টেলারিং। উপজেলা সদরের মাল ভিটা পাড়া রাস্তার মাথা শিউলি প্লাজা ভবনে রিয়াদ টেইলার্স নামক দোকানে চাকরি করত।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ৪ এপ্রিল বিকেলে নিজ কর্মস্হল দোকানে কাজ করা অবস্থায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে রুবেলকে। এ ব্যাপারে বড় ভাই মোহাম্মদ সোনা আলী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হচ্ছে একই ইউনিয়নের মধ্যম সিকদার বিল গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল ইসলাম মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র আব্দুল আলিম ও খোরশেদ আলম। যার মামলা নম্বর ১২ তারিখ ৬ মে ২০২০। ধারা ৩০২ ও ৩৪ পেনাল কোড।

নিহতের বড় ভাই সোনা আলী সাংবাদিকদের জানান আমার ভাই রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় টেলারিং কাজে দোকানে ব্যস্ত ছিল। ওই সময় পরিকল্পিতভাবে নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পীত ভাবে দোকানে ঢুকে ধারালো ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমার ছোট ভাইকে। তিনি আরো বলেন প্রথমে তাকে দোকান থেকে বের করে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ঘটনা বুঝতে পেরে দোকান থেকে বের হয়নি। তখন সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে উপর্যুপরি চুরিকাঘাত ও মারধর করে।

এদিকে রিয়াদ টেইলার্সের মালিক মোহাম্মদ আয়াজ জানান, রুবেল দোকানে দর্জি কাজে ব্যস্ত থাকা সময় প্রথমে আব্দুল আলিম এসে কথা আছে বলে বের করতে চেয়েছিল। তিনি বের না হওয়ায় আসামী নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা দোকানে ডুকে কথা বলতে না বলতেই মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণ এসে রুবেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতাল, পরে অবস্থা অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিহত রুবেল ঘটনার দিন ইফতার সামগ্রী নিয়ে বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে তার চাকরি স্থল টেইলারিং দোকানে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে ভাবে খুনের শিকার হন।
নিহতের পিতা ফজল করিম ও মাতা সফুরা খাতুন পুত্র রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন আমার পুত্র কোন দিন কারো দোষ করেনি। শান্তশিষ্ট ও ভদ্র হিসেবে এলাকায় রুবেলের পরিচিতি। পরিবার পরিজন রুবেল হত্যাকারী পলাতক অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।