৯ জুলাই, ২০২৫ | ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৩ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

উখিয়া ত্রান বাজারে ভেজালের সমহার

এম.এস রানা: মায়ানমার সেনা কতৃক চরম নির্যাতনে  শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে বিতরন করা ত্রান সামগ্রীর পন্যের নামে চলছে অধিকাংশ ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ন পন্যের রমরমা বানিজ্য।
রোহিঙ্গা পন্যের বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠা একটি সেন্ডিকেট উখিয়া ও তার পার্শবর্তি উপজেলা বা সদর কক্সবাজার থেকে ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ন নানান ধরনের পন্য সংগ্রহ করে তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে উখিয়ার প্রত্যান্তঞ্চলে গড়ে উঠা ত্রান বাজারে।
সরজমিনে দেখা যায়, উখিয়া সদর ষ্টেশন, কোটবাজার, মরিচ্যা বাজার, সোনারপাড়া বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ও স্থানসুমহে প্রতিদিন সন্ধা থেকে রাত গভির পর্যন্ত বসে জমজমাট এ ত্রানের বাজার।
মানুষের বিশ্বাস, সরকার বা বিভিন্ন এনজিও স্বস্হা কতৃক রোহিঙ্গাদের মাঝে যে সব ত্রান বিতরন হয় তা খুবেই উন্নতমানের এবং ভেজালহীন। যার কারনে স্থানীয়দের পাশা-পাশি  দেশের বিভিন্ন জেলা হতে এ অঞ্চলে চাকরী বা ব্যাবসা করতে আসা অনেক চাকুরী জীবি শখ করে হলেএ কিছুনা কিছু ক্রয় করেতে ছুটে যাচ্ছে ত্রান বাজারে। কারন স্বভাবিক বাজারের ছেয়ে রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে সংগ্রহীত পন্য সুমহের দাম অনেকটা কম হওয়াতে ক্রেতাদেরও তা ক্রয়ের আগ্রহ একটু বেশী। ক্রেতাদের সেই আগ্রহকে পুঁজি  করে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ন পন্যের রমরমা ব্যবসা। যার ফলে সস্তায় ত্রানের মাল কিনতে এসে চরম প্রতারনার শিকার হচ্ছে তারা। বলতে গেলে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ন তেল, ডাল, লোশন, দুধ, সেন্ড, কাপড় কাচার পাওডার, শ্যাম্পু, চা পাতা সহ নানান ধরনের নকল প্রসাধনী সামগ্রী বিদেশী এনজিও কতৃক দেয়া রোহিঙ্গা পন্য বলে নির্ভীগ্নে বিক্রি করে রাতারতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হচ্ছে এ প্রতারক চক্র। এছাড়াও গামছা তোয়েলা, কম্বল, শাড়ি, লুঙ্গী, চাদর, পুরাতন কাপড়ের বাজার হতে সংগ্রহীত নানান ডিজাইনের কাপড় রোহিঙ্গা পন্য হিসেবে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
রোহিঙ্গা বাজার থেকে পন্য ক্রয় করতে আসা পাবনার এক চাকুরী জীবি কামরুল ইসলাম  বলেন, ভাই লোক মূখে শুনেছি বাজারে রোহিঙ্গাদের দেয়া বিভিন্ন পন্য সস্তায় পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম সব তুগলকী কান্ড, যেসব মালামাল বিদেশী রোহিঙ্গা পন্য নাম দিয়ে বিক্রি করছে তা এ দেশেরেই তৈরী বিভিন্ন ভুঁয়া কোম্পনীর নিম্ন মানের পন্য, মনে হয় দেশের সব মেয়াদহীন ও ভেজাল মালামালের অঘোষিত বাজার, এক কথায় উখিয়া ত্রানের বাজার গুলোতে চলছে ভেজালের সমহার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।