১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

উখিয়া-টেকনাফে সালাহ উদ্দিন মাহমুদের গণসংযোগ


কালো টাকার মালিক ও কিছু হাইব্রিট নেতা আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করতে চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মোটর সাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, কালো টাকার মালিক ও দুর্নীতিবাজ কিছু নেতা ভোটারদের ডেকে নিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। সরকার দলীয় প্রার্থীকে তাদের সামনে ভোট দিতে হবে বলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অনৈতিক সুবিধার প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে বলেও শুনা যাচ্ছে।
তবে, প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর প্রশংসা করেছেন এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমি ও মোস্তাক আহমদ চৌধুরী দুইজনই একঘরের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। আমাদের মধ্যে কোন বিবেদ নাই। কিন্তু নির্বাচনকে পূঁজি করে একটা শ্রেনী আমাদের সম্পর্কে ফাঁটল সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব লোক থেকে সতর্ক থাকবে হবে।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) উখিয়া-টেকনাফ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সাথে মতবিনিময়কালে সালাহ উদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ ও সরকারের বদনাম ঘটাতে সরকার বিরোধী একটি চক্র এসব কান্ড ঘটাতে তৎপর হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আনার আবেদন জানিয়েছে তিনি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমি কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটে দাড়িয়েছি বলে আপনাদের কদর বেড়েছে। তাই আপনাদের কাছে আমি ভোট পাওয়ার অধিকার রাখি। আপনাদের হাতে জয়-পরাজয় ক্ষমতা। কালো টাকা ও প্রভাবেক নিকট নতজানু হবেননা। আপনাদের মূল্যবান ভোটে গণমানুষের অধিকারের কথা বলার সুযোগ দিন।
অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জের নির্বাচন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল দৃষ্টান্ত। তিনি চাইলে যে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পারেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাচনও সুষ্ঠু হোক সেটি প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন। কিন্তু কিছু লোক নির্বাচন সফল হোক, সেটি চাননা। স্বার্থ উদ্ধারই তাদের মূল টার্গেট। দুষ্ঠ লোকদের সফল হতে দেয়া যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন সালাহ উদ্দিন মাহমুদ।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার আলম, কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির সহ-সম্পাদক ফেরদৌস আলম হেলাল মুন্সি, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য জিয়াবুল হক, টেকনাফ উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ, চকরিয়া উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাষ্টার রশিদ আহম্মদ, মাষ্টার আবদুল হক, টেকনাফ উপজেলার জাতীয় ছাত্র সমাজের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ ১৯৮৮ সালে উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রথম জেলা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার (চকরিয়া-পেকুয়া) প্রথম নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। ১৯৮৬ সালে তিনি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনী নামে খ্যাত বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) কক্সবাজার মহকুমার কমান্ডার ছিলেন।
বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি জেপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রশাসনিক দক্ষতার অর্জনের জন্য স্বাধীনতার পর তাকে সরকারীভাবে স্কলারশীপ দিয়ে বুলগেরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।